দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এখন অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জয়-জয় কার। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস অপারেটিংস সিস্টেমের মাঝে উইন্ডোজ ফোন কিছুটা নাকাল। তাও উইন্ডোজ ফোন কিছু কিছু ক্ষেত্রে আলাদা। আজ আমরা আপনাদের জনাবো অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের বিপরীতে উইন্ডোজ ফোনের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে।
শুরুতে উইন্ডোজ ফোনের ভালো দিক সমূহ জেনে নেয়া যাক
১) লাইভ টাইলস – আইফোনে রয়েছে এর অসাধারণ আইকন, অ্যান্ড্রয়েড ফোনে রয়েছে এর widgets তবে উইন্ডোজ ফোনে রয়েছে আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকেও সবচেয়ে আলাদা লাইভ টাইলস! লাইভ টাইলস উইন্ডোজ ফোনের একটি অনন্য ফিচার যা অন্য কোন ফোনে নেই । এটা দেখতে খুবই চমৎকার এবং এর জন্য ফোন কখনো স্লো হয় না। এর মাধ্যমে আপনি অসাধারণ এক লাইভ মজা পেতে পারেন। লাইভ টাইলসের ফিচার সমূহ দেখুন নিচের ভিডিওতে:
২) অ্যাকশান সেন্টার– এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার অ্যাপ সমূহ কাস্টোমাইজ করে হোম স্ক্রিনে নিয়ে সাঁজাতে পারবেন। এতে করে আপনার ডিভাইস স্লো হবেনা বরং আপনি পাবেন অনন্য অভিজ্ঞতা।
আরও জানুনঃ উইন্ডোজফোন ব্যবহারকারীরাও Solitaire, Minesweeper এর মত গেমস সমূহ ফ্রিতে খেলতে পারবেন
৩) কর্টানা– উইন্ডোজ ফোনের ভার্সন ৮.১ এ কর্টানা নামে এই নতুন শক্তিশালী ফিচার যুক্ত হয়েছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার ডিভাইসের সকল কাজ করে নিতে পারবেন।
৪) আউটলুক, অফিস, সহ আরও অসংখ্য অ্যাপ– উইন্ডোজ ফোন ব্যবহারকারী হিসেবে আপনি মাইক্রোসফট আউটলুক অফিস সহ বিভিন্ন অফিশিয়াল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন সম্পূর্ণ ফ্রি।
৫) SkyDrive– একজন উইন্ডোজ ফোন ব্যবহারকারী হিসেবে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন SkyDrive, যা অনলাইনে আপনার নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহশালা হিসেবে কাজ করবে।
৬) ক্যামেরা– আমরা সকলেই জানি নোকিয়া ১০২০ ফোনের ক্যামেরার কথা। এখন পর্যন্ত এটাই স্মার্টফোনের সবচেয়ে ভাল ক্যামেরা। এছাড়াও লুমিয়া ৭২০, ৮২০, ৯২০, ৯২৫, ১৫২০ ইত্যাদি ফোনগুলোর ক্যামেরাও যথেষ্ট ভাল মানের। এগুলো সহজেই আইফোন ৫ বা স্যামসাং গালাক্সির মতো ফোনের সাথে কম্পেয়ার করা যায়। আপনি অন্য ডিভাইস সমূহের ক্যামেরা কোয়ালিটি নিয়ে ভাবনায় থাকলেও উইন্ডোজ ফোনের ক্ষেত্রে চিন্তিত হতে হবেনা।
বিস্তারিত পড়ুনঃ নোকিয়া কি এবার উইন্ডোজ ৯৫ চালিত স্মার্টফোন বাজারে আনতে যাচ্ছে?
৭) বাংলা কি বোর্ড- উইন্ডোজ ফোনের ভার্সন ৮.১ এ দেয়া হয়েছে বিল্ড ইন বাংলা কি বোর্ড ফলে আপনাকে বাংলা দেখা বা লেখা নিয়ে ভাবতে হবেনা। এ ছাড়াও উইন্ডোজ ফোন ৮.১ এ বিশ্বের সকল ভাষা দেখা যায়।
এবার চলুন জেনে নিই কেন উইন্ডোজ ফোন কেনা উচিত হবেনা
১) অ্যান্ড্রয়েড/ আইফোন সাথে প্রতিযোগিতা– সারা বিশ্বে এখনো স্মার্টফোনের বাজারের বিশাল একটি অংশ আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ফোনের উপর আস্থাশীল। আপনি যদি স্রোতের বিপরীতে হাঁটতে চান তবে অবশ্যই মানসিক একটি জোর থাকতে হবে যা অনেকের এই মুহূর্তে নেই।
২) গুগল ক্রোম বা অপেরা নেই– উইন্ডোজ ফোনে আপনি গুগল ক্রোম বা অপেরা মিনি ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারবেন না।
৩) ডাইরেক্ট থ্রিজি ভিডিও কল নেই– ডাইরেক্ট থ্রিজি ভিডিও কল ঝাপসা ফলে উন্নত বিশ্ব স্কাইপ বা থার্ড পার্টি বিভিন্ন ভিডিও কলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। সেই বিষয় মাথায় রেখে উইন্ডোজ ফোন ডাইরেক্ট থ্রিজি ভিডিও কল ব্যবস্থা তাদের ডিভাইসে রাখেনি।
নোকিয়া উইন্ডোজ ফোনের বাইরেও এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন Normandy “Nokia X” নিয়ে আসছে
৪) ফ্ল্যাশ প্লেয়ার নেই– উইন্ডোজ ফোনে ফ্ল্যাশ প্লেয়ার দেয়া হয়নি এবং এর কোন অ্যাপ ও উইন্ডোজ ফোনে সাপোর্ট করেনা ফলে আপনি ফ্ল্যাশ প্লেয়ার এর মাধ্যমে ওয়েব ভিডিও দেখতে পাবেন না। কিন্তু অন্যান্য ভিডিও প্লেয়ার সফটওয়্যার দিয়ে ভিডিও দেখতে পাবেন, এক্ষেত্রে ডাটা বেশি খরচ হবে।
এই সুবিধা অসুবিধা সব রয়েছে উইন্ডোজ ফোনে, তবে আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন আপনি টাকা খরচ করে কোন অপারেটিং সিস্টেমের ডিভাইস নিবেন। বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের একটি ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসে রূপ নিয়েছে। ফলে যাই নিন জেনে বুঝে শুনে নিবেন।
সূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া | উইন্ডোজ ফোন সেন্টার