উইন্ডোজ ফোন কেনার ক্ষেত্রে সুবিধা-অসুবিধা জেনে নিন [টিউটোরিয়াল]

শুরুতে উইন্ডোজ ফোনের ভালো দিক সমূহ জেনে নেয়া যাক

১) লাইভ টাইলস – আইফোনে রয়েছে এর অসাধারণ আইকন, অ্যান্ড্রয়েড ফোনে রয়েছে এর widgets তবে উইন্ডোজ ফোনে রয়েছে আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকেও সবচেয়ে আলাদা লাইভ টাইলস! লাইভ টাইলস উইন্ডোজ ফোনের একটি অনন্য ফিচার যা অন্য কোন ফোনে নেই । এটা দেখতে খুবই চমৎকার এবং এর জন্য ফোন কখনো স্লো হয় না। এর মাধ্যমে আপনি অসাধারণ এক লাইভ মজা পেতে পারেন। লাইভ টাইলসের ফিচার সমূহ দেখুন নিচের ভিডিওতে:

২) অ্যাকশান সেন্টার– এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার অ্যাপ সমূহ কাস্টোমাইজ করে হোম স্ক্রিনে নিয়ে সাঁজাতে পারবেন। এতে করে আপনার ডিভাইস স্লো হবেনা বরং আপনি পাবেন অনন্য অভিজ্ঞতা।

৪) আউটলুক, অফিস, সহ আরও অসংখ্য অ্যাপ– উইন্ডোজ ফোন ব্যবহারকারী হিসেবে আপনি মাইক্রোসফট আউটলুক অফিস সহ বিভিন্ন অফিশিয়াল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন সম্পূর্ণ ফ্রি।

৬) ক্যামেরা– আমরা সকলেই জানি নোকিয়া ১০২০ ফোনের ক্যামেরার কথা। এখন পর্যন্ত এটাই স্মার্টফোনের সবচেয়ে ভাল ক্যামেরা। এছাড়াও লুমিয়া ৭২০, ৮২০, ৯২০, ৯২৫, ১৫২০ ইত্যাদি ফোনগুলোর ক্যামেরাও যথেষ্ট ভাল মানের। এগুলো সহজেই আইফোন ৫ বা স্যামসাং গালাক্সির মতো ফোনের সাথে কম্পেয়ার করা যায়। আপনি অন্য ডিভাইস সমূহের ক্যামেরা কোয়ালিটি নিয়ে ভাবনায় থাকলেও উইন্ডোজ ফোনের ক্ষেত্রে চিন্তিত হতে হবেনা।

এবার চলুন জেনে নিই কেন উইন্ডোজ ফোন কেনা উচিত  হবেনা

১) অ্যান্ড্রয়েড/ আইফোন সাথে প্রতিযোগিতা– সারা বিশ্বে এখনো স্মার্টফোনের বাজারের বিশাল একটি অংশ আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ফোনের উপর আস্থাশীল। আপনি যদি স্রোতের বিপরীতে হাঁটতে চান তবে অবশ্যই মানসিক একটি জোর থাকতে হবে যা অনেকের এই মুহূর্তে নেই।

২) গুগল ক্রোম বা অপেরা নেই– উইন্ডোজ ফোনে আপনি গুগল ক্রোম বা অপেরা মিনি ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারবেন না।

৩) ডাইরেক্ট থ্রিজি ভিডিও কল নেই– ডাইরেক্ট থ্রিজি ভিডিও কল ঝাপসা ফলে উন্নত বিশ্ব স্কাইপ বা থার্ড পার্টি বিভিন্ন ভিডিও কলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। সেই বিষয় মাথায় রেখে উইন্ডোজ ফোন ডাইরেক্ট থ্রিজি ভিডিও কল ব্যবস্থা তাদের ডিভাইসে রাখেনি।