দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঝড়ের কবলে পড়ে মুন্সীগঞ্জের লঞ্চডুবির ঘটনায় আজ শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৩ লাশ উদ্ধার হয়েছে। দুই শতাধিক নিখোঁজ রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মিরাজ-৪ নামের এই লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট থেকে শরীয়তপুরের সুরেশ্বরে যাওয়া পথে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
ফাইল ফটো
এমভি মিরাজ-৪ নামের এই লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট হতে শরীয়তপুরের সুরেশ্বরে যাওয়ার পথে বেলা ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীতে গজারিয়াস্থ ইমামপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর কালিপুরা এলাকায় পৌঁছালে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ওই লঞ্চে প্রায় তিনশতাধিক যাত্রী ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই লঞ্চডুবির ঘটনার সময় সাঁতরে ও স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় ৪০/৫০ জন যাত্রী তীরে উঠতে সক্ষম হলে বাকি যাত্রীদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার পর পরই লঞ্চের যাত্রীদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা একযোগে কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যার আগেই ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আজ রাতভর উদ্ধার অভিযানের পর মোট ২৩টি লাশ উদ্ধার হয়।
খবর পেয়ে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ নারায়ণগঞ্জ হতে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলের পৌঁছে উদ্ধার শুরু করে। সেখান থেকে ২৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজ যাত্রীদের শত শত স্বজন গতকাল রাতভর লাশের আশায় মেঘনার তীরে অবস্থান করেন। তাঁদের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। পুরো এলাকা এখন শোকে কাতর।
বি আইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের ১৫ জন ডুবুরি উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছেন। অপরদিকে স্থানীয়রাও উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছেন। তাৎক্ষণিকভাবে স্বজনদের লাশও হস্তান্তর করা হচ্ছে। মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে।