দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দানব আকারের জেলিফিশগুলো সাধারণত মানুষের জন্য ক্ষতিকর প্রাণী নয়। এদের দেখতে পাওয়া যায় আটলান্টিক কিংবা ভূমধ্যসাগরে। এই ধরনের কিছু প্রাণীর দেখা পেয়েছিলেন আলোকচিত্রী স্টিভ ট্রিওাল পোর্টল্যান্ড সিটির দক্ষিণ উপকূলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের জেলিফিশগুলো পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে আজ হুমকির মুখে রয়েছে। আগামী কয়েকবছরের মধ্যে ৩ ফুট ২ ইঞ্চি ডায়ামিটারের এই দানবাকার জেলিফিশগুলো হারিয়ে যাবে। মেরিন কনসারভেশন সোসাইটির প্রধান রিচার্ড হ্যারিংটন বলেন, যদিও এই প্রাণীগুলো আমাদের জন্য ক্ষতিকর নয় তবুও আমরা মানুষদের বলে থাকি এদের না ধরার জন্য। কিছুদিন আগে সুজানা শেলডন তার কুকুরটিকে নিয়ে প্রাতভ্রমণ করছিলেন।
এই সময় তিনি একটি বড় আকারের জেলিফিশকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তার এই আবিষ্কারের সূত্র ধরে দেখা যায় যে, এটি একটি দানবাকার জেলিফিশ। ৪৭ বছর বয়স্ক সুজানা শেল্ডন বলেন, এটি ছিল প্রায় তিন ফুট লম্বা এবং মাংসল দেহ। তিনি বলেন, এটি তার দেখা সবচেয়ে বড় আকারের জেলিফিশ। প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেলিফিশ গভীর সমুদ্রের প্রাণী তাদের দেহের বহিরাবরণ অনেক পাতলা বলেই পানির তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেই তা তাদের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
সুজানা শেলডনের দেখা এই জেলিফিশটি উপকূলে মারা যাওয়ার কারণও এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি। মে মাসের শুরুর দিকে পরিবেশের বায়ুচাপ ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে তা মৃত অবস্থায় পানিতে ভেসে উপকূলে চলে আসে। উল্লেখ্য যে, আবহাওয়াবিদরা এই মাসের শুরুর দিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধির একটি বার্তা প্রদান করেছিলেন। গত এক সপ্তাহে পোর্টল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে পাওয়া গিয়েছে মৃত ১০টি জেলিফিশ।
হ্যারিংটন বলেন, এইগুলো আটলান্টিকের প্রাণী। কিন্তু মাঝে মাঝে তাদের বিভিন্ন উপকূলে দেখতে পাওয়া যায় কেননা প্রচণ্ড পানির স্রোত কিংবা বাতাসের ধাক্কায় তারা উপকূলে আছড়ে পড়ে। উপকূলীয় এই প্রাণীগুলো সাগরের জলে সাধারণত প্লাংটন খেয়ে বেঁচে থাকে।
তথ্যসূত্রঃ ডেইলিমেইল