দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের জনক আইনস্টাইন। অসম্ভব প্রতিভাবান এই বিজ্ঞানী বিজ্ঞানকে এগিয়ে দিয়েছেন অনেকটা। তার চিন্তা ভাবনার গভীরতা আর বুদ্ধিমত্তার কারণে মানুষ সন্দিহান, আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক হয়ত সাধারণের চেয়ে আলাদা। ১৯৮৫ সালের এক গবেষণা লব্দ ফলাফলও তাই নির্দেশ করে। কিন্তু সম্প্রতি হয়ে যাওয়া গবেষণা এই তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করেছে।
আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক সাধারণ মানুষের মতই!
আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক আলাদা ভাবার কারণ, তিনি ছিলেন অসম্ভব প্রতিভাবান। তিনি অনেকগুলো জটিল তত্ত্ব প্রদান করেছেন যা আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের ভিত্তি। তাই অনেকে তার মস্তিষ্ককে শুধু কাজের দিকেই নয়, গঠনগতভাবেই ভিন্ন ভেবেছেন। আইনস্টাইন সম্পর্কে ভালোভাবে জানলে যে কেও এরকম ভাবতে বাধ্য।
ব্যাপারটা শুধু ভাবাভাবির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তার মস্তিষ্ক নিয়ে ১৯৮৫ সালে গবেষণা হয়ে গেছে। একগাদা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা যায়, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কে গ্লিয়াল কোষ বেশি। গ্লিয়াল কোষের কাজ হচ্ছে নিউরনের কাজকে ত্বরান্বিত করা। ফলে মস্তিষ্ক প্রখরভাবে কাজ করে। এই কারণে তখনকার বিজ্ঞানীরা আইনস্টাইনের মস্তিষ্ককে আলাদা হিসেবেই দেখিয়েছেন।
ডঃ টেরেন্স হাইন্স বলছেন অন্য কথা। সম্প্রতি তিনি আইনস্টাইন সম্পর্কে উৎসাহী হয়ে এক গবেষণা করেন। এই কাজে ব্যবহার করেন ১৯৮৫ সালের গবেষণার সকল উপাত্ত। তখনকার প্রতি ২৮টি পরীক্ষায় মাত্র একটি পরীক্ষা সঠিক পাওয়া গেছে। অতঃপর আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পরীক্ষা করে সাধারণ মানুষের মস্তিষ্কের সাথে আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের কোন প্রার্থক্য পাওয়া যায়নি।
অনেকে হয়ত ব্যাপারটির সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন। তাই হাইন্স একটি সহজ সমাধানের কথা বলেছেন। এই পরীক্ষার নাম হল ‘অন্ধ পরীক্ষা’। অনেকগুলো মস্তিষ্কের সাথে আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক দেওয়া হবে। পরীক্ষা করে আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক বের করতে হবে। যদি তা সম্ভব হয় তবে, তার মস্তিষ্ক আসলেই আলাদা। আর যদি তা সম্ভব না হয়, তবে হাইন্সের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।
আইনস্টাইন যদি জানতেন, তার মস্তিষ্ক নিয়ে মানুষ এতটা গবেষণা করছে তবে খুশি হতেন নাকি দুঃখিত হতেন তা বলা দুরূহ। তবে এখন পর্যন্ত তার মত প্রতিভাবান বিজ্ঞানীর জন্ম হয়নি দেখে কিছুটা আত্মতৃপ্তিতে ভুগতেন তা বলাই যায়।
সূত্রঃ thetechjournal