দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে তথ্য প্রযুক্তির হাওয়া। তাইতো বর্তমান বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তি ছাড়া ভাবাই যায় না। আজ তথ্য প্রযুক্তির সংক্ষিপ্ত সংবাদ (২৪-১১-১২) এ বিশ্বের বেশ কিছু তথ্য প্রযুক্তির খবর তুলে ধরা হলো।
পোশাকের মাপ জানাবে ওয়েবক্যাম স্ক্যানার
নতুন এক প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইন দোকানে জামা-কাপড় কেনার কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে। ওয়েবক্যাম কাজে লাগিয়ে নিখুঁত ত্রিমাত্রিক মাপের ভিত্তিতে সঠিক মাপের পোশাক বেছে নিতে পারবেন ক্রেতারা। জামা-কাপড় কেনা মানেই সঠিক মাপের ব্যাপার। মাপ ভুল হলে হয় দোকানে গিয়ে বদলাতে হয়, কিংবা দর্জির কাছে গিয়ে জামা-কাপড় প্রয়োজনমতো ছোট বা বড় করিয়ে নিতে হয়। দোকানে গেলে তাও কেনার সময় জামা-কাপড় পরে দেখে নেয়া যায়, মাপ ঠিক আছে কিনা। কিন্তু ইন্টারনেটে জামা-কাপড় কিনলে তাও সম্ভব নয়। পর্দায় জামা-কাপড়ের ছবি দেখে নিখুঁতভাবে আন্দাজ করা কঠিন। সাইজ লেখা থাকলেও তো পোশাক সম্পর্কে হুবহু আন্দাজ পাওয়া সম্ভব নয়। এ সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে এসেছেন ব্রিটেনের গবেষকরা। তারা এমন এক ‘বডি-স্ক্যানার’ তৈরি করেছেন, যার সামনে দাঁড়ালেই যে কোন মানুষের সঠিক মাপজোক জানা যায়। ঘরে বসেই এ কাজ করা যাবে। কারণ নামে স্ক্যানার হলেও যে কোন ওয়েবক্যামের মাধ্যমেই বিশেষ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে নিখুঁত ত্রিমাত্রিক ছবি তোলা যাবে। এরপর সেই তথ্য পাঠিয়ে দেয়া যায় অনলাইন দোকানে। তাদের কাছে সে মাপ অনুযায়ী যে সব পোশাক রয়েছে, আপনি শুধু সেগুলোই দেখতে পারবেন। তারপর পছন্দ করে বেছে নিলেই হল। ইন্টারনেটে সম্ভাব্য ক্রেতাদের মনে এই দ্বন্দ্ব কীভাবে দূর করা যায়, এ নিয়ে অনেক আগে থেকেই চিন্তা-ভাবনা চলছিল। আশা করা হচ্ছে, নতুন এই আবিষ্কার অনলাইন পদ্ধতিতে জামা-কাপড় বিক্রি অনেক বাড়াবে। যুক্তরাষ্ট্রের কমস্কোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে জুন মাস পর্যন্ত অনলাইনে যে পরিমাণ কেনাবেচা হয়েছে, তার মধ্যে পরিধেয় অংশ ছিল মাত্র ১৪ শতাংশ। আর বিক্রি হওয়া ওই জামা-কাপড়ের প্রায় ৩০ থেকে ৬০ শতাংশই ফেরত পাঠানো হয়। কারণ অনেক ক্রেতাই নিশ্চিত হতে না পারায় একাধিক মাপের পোশাক কেনেন। এরপর সঠিক মাপেরটি রেখে বাকিগুলো পাঠিয়ে দেন।
তথ্য চুরির শাস্তি ৫ বছরের জেল
আইপ্যাড ইউজারদের ইমেইলসহ ব্যক্তিগত তথ্য এটিঅ্যান্ডটি সার্ভার থেকে চুরির অভিযোগে এক মার্কিনিকে অভিযুক্ত করেছেন মার্কিন ফেডারেল আদালতের জুরি। আদালত তাকে ৫ বছরের জেলসহ ২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করতে পারে বলে জানিয়েছেন অপর এক জুরি। অভিযুক্ত ওই মার্কিনি অ্যান্ড্র- অয়ারহিমার। ২৭ বছর বয়সী অয়ারহিমারের বিরুদ্ধে এটিঅ্যান্ডটি কর্পোরেশনের সার্ভারে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ ও তথ্য চুরির অভিযোগ আনা হয় বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি পল ফিশারম্যান। একই ধরনের অভিযোগে অন্য এক মার্কিনি ড্যানিয়েল স্পিটলার ২০১১ সালের জুনে অভিযুক্ত হলেও তিনি এখনও চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় আছেন। তথ্য মতে, এটিঅ্যান্ডটি নেটওয়ার্ক ইউজারদের যাবতীয় তথ্য চুরি করতে অ্যাকাউন্ট স্লারপার ব্যবহার করা হয়। এতে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট কার্ড আইডেন্টিফায়ার যুক্ত থাকায় একই ধরনের সব ই-মেইল আইডি ও ইউজারদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
মামলা সংশ্লিষ্ট আইনজীবী জানান, অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তিদের ই-মেইল ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে তা ওয়েবে প্রকাশ করা হয়। এ চুরি থেকে বাদ পড়েনি নিউইয়র্ক ও শিকাগোর মেয়রের ই-মেইল। এবিসি নিউজ জানায়, তথ্য চুরির খবরও ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যায়।
অনলাইনে দীর্ঘ ফাইল শেয়ার
ইন্টারনেটে বড় ফাইল শেয়ার করা বেশ ঝামেলার। কাউকে বড় কোন ফাইল পাঠাতে চাইলে বিভিন্ন ফ্রি হোস্টিং সাইটে আগে আপলোড করতে হয় এবং ডাউলোডের লিংক দিতে হয়। কিন্তু আপনি জিব্রিজ দ্বারা সহজেই আপনার কম্পিউটারের ফোল্ডারকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শেয়ার দিতে পারবেন। ফলে আপনাকে কষ্ট করে বড় বড় ফাইল আপলোড করতে হবে না। প্রাপক অনেকটা পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্কের মতো আপনার কম্পিউটারে থেকে ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারবে। এজন্য উভয়কে জিমেইল অ্যাকাউন্ট এবং জিব্রিজ সফ্টওয়্যারটি থাকতে হবে। ২.০২ মেগাবাইটের ফ্রি এই সফ্টওয়্যারটি িি.িমনৎরফমব.পড়স থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। এবার সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে জিমেইল আইডি দ্বারা জিব্রিজ লগইন করুন। কোন জিমেইল ব্যবহারকারীকে আমন্ত্রণ করতে চাইলে ওহারঃব ঋৎরবহফ বাটনে ক্লিক করে জিমেইল ব্যবহাকারীদের আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। এরপরে কোন জিমেইল ব্যবহারকারী অনলাইনে থাকলে তা বোঝা যাবে। কারও সঙ্গে চ্যাটিং করতে চাইলে ওই আইডির উপরে মাউস দিয়ে ক্লিক করে ঈযধঃ এ ক্লিক করলে চ্যাটিং উইন্ডো থেকে স্বাভাবিকভাবে চ্যাটিং করতে পারবেন।
ব্রিটেনে চলছে ৫-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণা
ব্রিটেনে কেবল শুরু হয়েছে চতুর্থ জেনারেশনের মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার। তবে এরই মধ্যে পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কাজ শুরু করে দিয়েছে দেশটির সারে বিশ্ববিদ্যালয়। ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালুর ক্ষেত্রে অনেক দেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ব্রিটেন। আইনি লড়াই ও প্রয়োজনীয় বেতার তরঙ্গের অভাবে এই দেরি বলে জানা গেছে। লন্ডন ও এর আশপাশের এলাকার গ্রাহকরা ফোর-জি ব্যবহার শুরু করেছেন।
তবে আর পিছিয়ে থাকতে চাইছে না ব্রিটেন। তাই ফাইভ-জি নিয়ে কাজ করতে সারে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা কেন্দ্র চালুর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর, অবকাঠামো সুবিধা দেয় এমন কোম্পানি ও সরকার যৌথভাবে ৪৩ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করছে। ওই অর্থ দিয়ে সারে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক রহিম তাফোজোলি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর কমিউনিকেশনস সিস্টেমস রিসার্চ’-এর পরিচালক এবং মোবাইল ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের অধ্যাপক। ২০২০ সাল নাগাদ ফাইভ-জি চালুর লক্ষ্যে কাজ করবে গবেষণা কেন্দ্রটি। প্রতি গ্রাহক যেন ২০০ এমবিপিএস ডাউনলোড স্পিড পেতে পারেন সে লক্ষ্য থাকবে গবেষকদের। বেতার তরঙ্গকে আরও ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে এ উদ্দেশ্য পূরণের চেষ্টা করা হবে বলে জানা গেছে। সারে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অধ্যাপক তাফোজোলি বলছেন, ফাইভ-জি তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। তারা নতুন মোবাইল প্রযুক্তি নিয়ে বেশ কয়েকবছর ধরেই কাজ করছেন। তিনি বলেন, ফাইভ-জি’র জন্য ব্রিটেন জুড়ে হাজার হাজার ক্ষুদ্র সেলের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।
অনলাইনে দেশের দেড় লাখ ফ্রিল্যান্সার
ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১২ আসরে থাকছে ফ্রিল্যান্সিং সম্মেলন। এতে দেশীয় বিশেষজ্ঞ ও ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে বিদেশী তথ্যপ্রযুক্তিবিদ এবং ফ্রিল্যান্সিং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস ফ্রিল্যান্সার ডটকমের সহ-সভাপতি (প্রকৌশল) ডেভিড হ্যারিসন জানান, এখন বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা দারুণ কাজ করছে। বিশ্বের অনেক দেশের বায়াররাও বাংলাদেশের মেধাবীদের সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। এটি একটি অর্জন। শুধু ফিল্যান্স ডটকমেই ১ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি নিবন্ধিত আছে। আর সাফল্যের সঙ্গে কাজও করছেন। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সার ডটকমের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করার ব্যাপারে নিজের আশাবাদী। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১২ আয়োজনের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক মুনির হাসান জানান, আগামী ৭ ডিসেম্বরের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে দিনব্যাপী অনুষ্ঠেয় আয়োজনে দেশীয় ফ্রিল্যান্সারদের ক্যারিয়ার, উৎসাহ ও দিকনির্দেশনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। এতে আগামী দিনের ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এবং মার্কেট প্লেসের সঙ্গে পরিচয় এবং ফ্রিল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার নানা বিষয় প্রাধান্য পাবে।
এ আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন ইল্যান্স ডটকমের সহ-সভাপতি জেটিল ওলসেন এবং পরিচালক (বিপণন) অ্যালেক্স ইয়োনম এবং ওডেস্কের সহ-সভাপতি (মার্কেট প্লেস অপারেশন) ম্যাট কুপার ছাড়াও আরও অনেকে। এ ছাড়াও থাকবেন বেসিস নির্বাচিত বর্ষসেরা ফ্রিল্যান্সাররা।
আগ্রহীরা (www.digitalworld.org.bd) এ ঠিকানায় বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
২৮ বছরে উইন্ডোজ
বিশ্বের জনপ্রিয় মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ পা দিল ২৮ বছরে। ১৯৮৫-এর আগেই উইন্ডোজ বাজারে এনেছিল মাইক্রোসফট। কিন্তু সেগুলো পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত ছিল না। ওএসটি উন্নত করার সুযোগ ছিল অনেক। ১৯৮৫ সালের ২০ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটি বাজারে ছাড়ে উইন্ডোজ ১.০১। কিছু ত্রুটি দূর করে অ্যাপলের কাছ থেকে কিছু ফিচার নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এটি। এরপর নব্বইয়ের দশকে পিসির ওএসের বাজারে একচেটিয়া অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয় মাইক্রোসফট। বর্তমানে অপারেটিং সিস্টেম অ্যাপলের আইওএস আর উইন্ডোজে সীমাবদ্ধ। ১৯৮৫ সালে বিষয়টি ছিল পুরো আলাদা। কমিপউটার বাজার কেবল গড়ে উঠছে তখন। সে সময় অনেকেই এর অপারেটিং সিস্টেমের (IGm) বাজার দখলের চেষ্টা করেছিল। কমোডরের অ্যামিগা ওএস, ডিআরআইয়ের জিইএম ও আইবিএম ওএস/২ দিয়ে বাজার দখলের চেষ্টা করেছিল। এরপর এল লিনাক্স। এর মধ্যে জয়ী হিসেবে আবির্ভূত হয় মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ।
ইট দিয়ে ওয়েবপেজকে পিডিএফ করা
বিভিন্ন কারণে ওয়েবপেজকে পিডিএফ বা ইমেজ (ছবি) হিসাবে সেভ করার প্রয়োজন হয়। এমন অনেক সফ্টওয়্যার আছে যার দ্বারা ওয়েবপেজকে পিডিএফ বানানো যায়। তবে এর মধ্যে মজিলা ফায়ারফক্সের পিডিএফইট অ্যাড-অন্স দ্বারা সহজেই যে কোন ওয়েবপেজের সম্পূর্ণ বা দৃশ্যমান অংশকে পিডিএফ বা ইমেজ (JPEGor PNG) ফাইলে সেভ করা যায়। এরজন্যaddons.mozilla.org/enUS/firefox/addon/7528 থেকে মাত্র ১৯ কিলোবাইটে অ্যাড-অন্সটি ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করে নিন। এবার যে ওয়েবপেজটি পিডিএফ করতে চান সেই ট্যাবে এসে থেকে Tools মেন্যু থেকে Pdf It!>Save As PDF এ ক্লিক করে থেকে সম্পূর্ণ বা দৃশ্যমান অংশকে পিডিএফ করবেন তা নিবার্চন করে সেভ করলেই হবে। একইভাবে ইমেজ হিসাবে সেভ করা যাবে। শটকার্টের মাধ্যমেও সেভ করা যাবে। কোন সেটিং পরিবর্তন করতে চাইলে Tools>Pdf It!>Options গিয়ে করতে পারেন।
প্রযুক্তিতে ঢাকার অবস্থান ২৩
বিশ্বের নেটওয়ার্ক সোসাইটি সিটি ইনডেক্সে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শীর্ষ ২৫টি শহরের মধ্যে ২৩ নম্বর অবস্থানে রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি উন্নয়নের মাধ্যমে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন হয়েছে এমন শহরগুলোকে নেটওয়ার্ক সোসাইটি সিটি বলা হয়। জরিপে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে শহরগুলোতে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে, তাই বিনিয়োগবান্ধব স্থিতিশীল আইন, ইন্টারনেটের খরচ সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সিটি ইনডেক্সের শীর্ষস্থান অর্জন করেছে নিউইয়র্ক সিটি।
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের দিল্লির অবস্থান ১৬, মুম্বাইয়ের ১৯ এবং পাকিস্তানের করাচীর ২৫তম। সমপ্রতি সুইডেন ভিত্তিক টেলিযোগাযোগ যন্ত্রাংশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এরিকসন ও আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আর্থার ডি লিটলটনের যৌথ উদ্যোগে এই সিটি ইনডেক্স তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এরিকসনের প্রধান কার্যালয় থেকে এরিকসন গ্রুপের কৌশলগত বিপণনের প্রধান কর্মকর্তা প্যাট্রিক রিগার্ড জানান, আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) ব্যবহারের উন্নয়নের মাপকাঠিতে বিভিন্ন দেশের বড় শহরগুলোতে জরিপ চালানো হয়। সেই জরিপের ভিত্তিতে সিটি ইনডেক্স তৈরি করা হয়েছে। জরিপে বলা হয়েছে, শুধু আইসিটির কারণে সিটি ইনডেক্সের প্রতিটি শহরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের জিডিপি বাড়ছে। একই কারণে ওই সব শহরের বাসিন্দাদের আর্থিক উন্নতিরও প্রমাণ পাওয়া গেছে জরিপে।
এ ছাড়া নাগরিকদের অধিকাংশই আইসিটির মাধ্যমে নিজেদের কর্মজীবনের বেশির ভাগ কাজ সমপন্ন করেন বলে পরিবেশেরও উন্নতি হচ্ছে বলে জরিপে বলা হয়েছে। বিশেষ করে মোবাইল ব্যাংকিং, মোবাইল স্বাস্থ্য, মোবাইল শিক্ষাসহ ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির এসব বিষয় সাধারণের জীবন একদম সহজ করে দিয়েছে।
আনহ্যাকেবল টেলি নেট আরেক ধাপে গবেষকরা
কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে টেলিকম নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা বাড়াতে নতুন এক ধরনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন গবেষকরা। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এতে গবেষকরা ব্যয়বহুল অপটিক্যাল ফাইবার লিঙ্ক ব্যবহার করেনি। যুক্তরাজ্যে তোশিবার ইউরোপিয়ান রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরাই এই ‘আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক’ প্রযুক্তিতে আরও একটি ধাপ এগিয়ে এনেছেন। মূলত কোয়ান্টাম থিওরি ব্যবহার মানে ডাটা আনহ্যাকেবল কোডে রূপান্তর করে কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি। উন্নত দেশগুলো বিশেষ করে প্রযুক্তিতে অগ্রসরমান দেশগুলো তার গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট কাজে কিংবা সেনাবাহিনীর জন্য এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তবে এর আগে এনক্রিপ্টেড কোড ভেঙে ডাটা উদ্ধার করতে ফোটন অর্থাৎ আলোর ক্ষুদ্র কণার মাধ্যমে কোয়ান্টাম কি আদান-প্রদান করতে প্রয়োজন পড়তো সম্পূর্ণ আলাদা অপটিক্যাল ফাইবার। এটি ব্যয়বহুল প্রযুক্তি। আর এখন ফাইবার ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কোয়ান্টাম কি এবং ডাটা আদান প্রদানের প্রযুক্তি আবিষ্কার করার কথা জানিয়েছেন তোশিবার বিজ্ঞানী অ্যান্ড্র- শিল্ড। তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ, ১ মাইক্রোসেকেন্ডের ১০ কোটি ভাগের একভাগ সময়ের মধ্যে এনক্রিপ্টেড কি বাহি ফোটন শনাক্ত করার ডিটেক্টর তৈরি।