দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে এখনো আর্জেন্টিনার সমর্থক সবচেয়ে বেশি। এর প্রধান কারণ সম্ভবত দিয়েগো ম্যারাডোনা, যাকে ভক্ত-সমর্থকরা ‘ফুটবল ঈশ্বর’ বলেন।

ম্যারাডোনা তার ম্যাজিক দেখিয়েছেন মূলত ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে। ওই আসরে বলতে গেলে তিনি একাই আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। ম্যারাডোনা হলেন একটি ভয়াবহ ফুটবল ক্রেজ। আর্জেন্টিনা দলের হয়ে তিনি যে ফুটবল শৈলী বিশ্বকে দেখিয়েছিলেন অনেকের মতে তা ছিল এক ধরনের শিল্প।
ম্যারাডোনা ছিলেন একজন মিডফিল্ডার। মাঝারি গঠনের ম্যারাডোনা দৈহিক চাপ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখেন। তার ছোট ছোট পা দিয়ে তিনি খুব দ্রুত দৌড়াতে পারতেন। সীমিত জায়গার মধ্যেও ম্যারাডোনা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। খাটো হওয়া সত্ত্বেও, দৈহিক দিক থেকে তিনি ছিলেন শক্তিশালী।

ছিয়াশির বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ৫১ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম গোলটি করেন ম্যারাডোনা। ওই গোলটি নিয়ে আজও বিতর্ক মেটেনি। ২২ জুন মেক্সিকো সিটির এস্তাদিও আসটেক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে বলতে গেলে হাত দিয়েই গোল দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। সেসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ম্যারাডোনা ‘হ্যান্ড অব গড’ বা ‘ঈশ্বরের হাত’ আখ্যা দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয় ২০০২ সালে ফিফার জরিপে সেটি শতাব্দীর সেরা গোলও নির্বাচিত হয়।

ম্যারাডোনা বিখ্যাত হয়েছেন যেমন গতির জন্য তেমনি ড্রিবলিংয়ে সম্ভবত তার ধারেকাছেও কেউ এখনো নেই। ব্যক্তিগত জীবনে বহুবার নানাভাবে বিতর্কিত হলেও এই দক্ষতার কারণে তিনি ফুটবলের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবেন। আর এ জন্য আর্জেন্টাইনদের কাছে ম্যারাডোনা স্বপ্নের নায়ক। বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি। দ্বিমত থাকলেও তাকে মানা হয় ফুটবল ইতিহাসেরই সর্বকালের সেরা বলে।
কিংবদন্তী ম্যারাডোনার কিছু অসাধারণ ড্রিবলিং দেখুন:
১
http://youtu.be/M2ikh_D8PjA
২
http://youtu.be/76zL9UZjyqg
৩
http://youtu.be/B1PMJXoWD1c