দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, কোনো আন্তর্জাতিক চাপই ইসরায়েলকে এই অভিযান থেকে রুখতে পারবে না। আমেরিকা এবং যুক্তরাজ্যের নেতাদের সাথে তার ফোন আলাপ হয়েছে, দুই দেশের নেতারাও অভিযানের বিষয়ে আগ্রহী।
রাজধানী তেল আবিবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু একথা বলেন। তিনি বলেন, গাজায় আমরা এখন পর্যন্ত হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের ১ হাজারের ওপর আস্তানায় আঘাত হেনেছি।
তিনি বলেন, “হামাস এখন সাধারণ মানুষের মাঝে নিজেকে লুকাচ্ছে। এর ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এই অভিজানে যত সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছে তার জন্য হামাস দায়ী। যতক্ষণ সন্ত্রাস নির্মূল না হবে ততক্ষণ এই অভিযান চলবে, কোনো আন্তর্জাতিক চাপই ইসরায়েলকে এই অভিযান থেকে রুখতে পারবে না।”
এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার চতুর্থ দিন শেষে গাজায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত শতাধিক মারা গেছে, মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে আরো অন্তত ৬৭০ জন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাফাহ এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরো আটজন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা একশ ছাড়াল।
এদিকে আক্রান্ত অঞ্চলে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অন্যান্য উপাদানের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গাজা, পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমে জ্বালানী ও ওষুধ সরবরাহ ব্যহত হচ্ছে বলে সেখানে চিকিৎসা সেবা ভেঙ্গে পড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হু।
এই সংকটজনক অবস্থা থেকে উত্তরণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন। যদিও প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রী সকলকে আশ্বাস দিচ্ছেন- তিনি সমস্যা সমাধানে বদ্ধপরিকর। অপরদিকে গতকালই প্রায় ৪০ হাজার সেনাসহ স্থল পথে ট্যাংকসহ আক্রমণে প্রস্তুত হতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল সরকার।
‘অপারেশন প্রোটেক্টিভ’ নামের এই অভিযানে হামাসের জঙ্গি হত্যার নামে অসংখ্য সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছে, এদের বেশীরভাগ শিশু। তবে ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের এই অভিযানে কয়েক ডজন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে।