দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘যখন আমি অনেক দূরে, থাকবো না আর মাটির ঘরে, তখন আমায় পড়বে মনে আগের মতো করে..আমায় আগের মতো করে..’ সেই দরাজ কণ্ঠের অধিকারী কিশোর কুমারের আজ ৮৫ তম জন্মদিন।
নন্দিত কণ্ঠের অধিকারী কিশোর কুমারের গান শোনেননি এমন মানুষ নেই। কিশোর কুমারের গান ভালো লাগেনি এমন মানুষও খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেই কিশোর কুমারের আজ ৮৫তম জন্মদিন। মানুষটি আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার গান রয়ে গেছে আমাদের হৃদয়ে। এখনও প্রেমিক-প্রেমিকারা গেয়ে ওঠেন, ‘ভালোবাসা ছাড়া আর আছে কি, ভালোবাসা হলো নি:শ্বাস এদেহের, নি:শ্বাস ছাড়া মানুষ কখনও বাঁচে কি…’। এখন অনেকেই গেয়ে ওঠেন, ‘আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রেখো, আমায় পড়বে মনে- কাছে দূরে যেখানেই থাকো’। সত্যিই তাই আজকের এই দিনটিকে মনে রাখতেই হবে বাঙালীদের। কারণ আজকে যে কিশোর কুমারের জন্মদিন।
তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে, সে তো এলো না, সে যেন আমার পাশে আজও বসে আছে, মোর স্বপনের সাথী তুমি কাছে এসো- এমন অসংখ্য অমর গানের স্রষ্টা কিশোর কুমার। তাঁর জন্মদিন আজ। তিনি শুধু শিল্পী নন, গীতিকার, সুরকার, অভিনয় শিল্পী-হিসেবেও তাঁর ব্যাপক খ্যাতি। তিনি সকল ক্ষেত্রেই রেখেছেন অসামান্য সাফল্যের স্বাক্ষর।
কিশোর কুমারের জন্ম হয়েছিল ১৯২৯ সালের ৪ আগস্ট ভারতের মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়াতে এক সম্ভান্ত বাঙালি পরিবারে। তার প্রকৃত নাম ছিল আভাস কুমার গাঙ্গুলি। কিশোর কুমারের বাবা কুঞ্জলাল গাঙ্গুলি পেশায় ছিলেন একজন আইনজীবি। আর কিশোর কুমারের মা গৌরী দেবী ধনাঢ্য পরিবারের মেয়ে ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই কিশোর কুমার ছিলেন সংস্কৃতিমনা। কিশোর কুমারের বড় ভাই অশোক কুমার তখন ছিলেন বলিউডের বড় অভিনেতা। আর তাই ৪ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট কুশোর কুমারের স্বপ্ন গড়ে ওঠে ভাইয়ের মতো নায়ক হওয়া। বড় ভাই অশোকের সাফল্য তাকে অনুপ্রাণিত করেছিল। দু’একটিতে অভিনয় করলেও ভাগ্যচক্রে অভিনেতা না হয়ে, অমর শিল্পী হয়েছেন কিশোর কুমার।
বাঙালিদের হৃদয়ের সেই সাড়া জাগানো শিল্পী কিশোর কুমার ১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর ৫৮ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে যান পরপারে। তবে পরপারে গেলেও, তাঁর আত্মা এখনও বাংলা গানের সঙ্গেই আছে। তিনি এখনও যেমন বেঁচে আছেন বাংলা গানে, তেমনি বেঁচে থাকবেন হাজার বছর ধরে।