দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে দিল্লির সেই ধর্ষিতার। আর এই খবর ভারতে পৌঁছাতেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় রাজধানী। দিল্লি ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে সব নাগরিককে ইন্ডিয়া গেট সংলগ্ন রাস্তা ব্যবহার না করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
শনিবার ২৯ ডিসেম্বর রাজপথ, বিজয় চক সহ ইন্ডিয়া গেট সংযোগকারী সব রাস্তা বন্ধ থাকবে বলে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ইন্ডিয়া গেটে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ঘিরে ফেলা হয়েছে যন্তর মন্তর চত্বর। সেই সঙ্গেই বন্ধ থাকবে সবগুলো মেট্রো স্টেশনও। নগরী জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশের বিশেষ বাহিনী। শনিবার ২৯ ডিসেম্বর গোটা দিন দিল্লির রাজিব চক, সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট, প্যাটেল চক, রেস কোর্স, খান মার্কেট, জোর বাগ, উদয় ভবন, মান্ডি হাউজ, বারাকাম্বা রোড ও প্রগতি ময়দান মেট্রো স্টেশনে কোনো ট্রেন চলাচল করবে না।
দিল্লি মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, রাজিব চক ও সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট থেকে রুট বদল করতে পারবেন যাত্রীরা। শনিবার সকালে দিল্লি ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজপথ, বিজয় চক সহ ইন্ডিয়া গেট সংযোগকারী সব রাস্তা ও রাজধানীর সব রাস্তা এদিন বন্ধ রাখা হবে। বন্ধ থাকবে কামাল আট্টারুক মার্গও। সব পথযাত্রীকে ওই রাস্তাগুলি দিয়ে চলাচল এড়িয়ে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত রাতেই তরুণীর ক্রমাগত শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর আসার সময়ই দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জনতাকে সংযত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির বাসে গণধর্ষণের ঘটার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে দিল্লি। রাজধানী থেকে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ভারতবর্ষে। এ ঘটনায় সমগ্র বিশ্ব জুড়েই শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। ধর্ষণসহ এমনসব অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে যদি বিশ্ববাসী এভাবে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠতো, তাহলে অনেক অনাচার থেকে সমগ্র বিশ্ববাসী বেঁচে যেতেন।