দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ ৫ দিন অতিবাহিত হয়েছে অথচ পদ্মায় ডুবে যাওয়া পিনাক-৬ এর সন্ধান এখনও মেলেনি। এদিকে পদ্মাপাড়ে স্বজনহারাদের আর্তনাদ বাড়ছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও ৫ দিনেও্র মেলেনি পদ্মায় ডুবে যাওয়া পিনাক-৬ লঞ্চটির সন্ধান। কান্ডারী-২ এর সঙ্গে আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে যোগ দেয় চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে আসা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জরিপ-১০ জাহাজ। এই জরিপ-১০ জাহাজটি উদ্ধার কাজে কতটুকু অগ্রগতি করতে পারবে তা সময়ই বলে দেবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জরিপ-১০ উদ্ধার জাহাজটি আকারে বেশ ছোট। কিন্তু এর কার্যক্ষমতা অনেক বেশি। আধুনিক স্ক্যানার থাকায় চলার পথে দুই পাশে প্রায় ৩শ’ মিটার পর্যন্ত স্ক্যান করতে পারে। পানির নিচে পলিমাটি ও কাদামাটিতে ৭০ মিটার আবার বালি মাটিতে ১৮ মিটার গভীর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ চালানোর মতো ক্ষমতা রয়েছে জরিপ-১০ জাহাজটির।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত উদ্ধার করা হয় ৩৭ জনের লাশ। এদের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সর্বশেষ গতরাত ১টার দিকে বরিশালের হিজলা উপজেলার মেঘনা নদী হতে ৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ১জন পুরুষ, ১জন নারী এবং ১জন কন্যা শিশু।
এদিকে পিনাক-৬ উদ্ধার না হওয়ায় স্বজনদের মধ্যে হাহাকার ক্রমেই বাড়ছে। দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা স্বজনহারা মানুষগুলো খেয়ে না খেয়ে পদ্মাপাড়ে অপেক্ষা করছেন। কখন পাবেন স্বননদের লাশ সে আশায় প্রহল গুনছেন। এ প্রহরের কি শেষ হবে? এ প্রশ্ন সকলের।