দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি নওগাঁর শিয়াল খেকো সেই অজগরটি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন বেশ বিপাকে পড়েছে। আলতাদীঘির শালবনের সেই অজগরটি ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা কার্যালয়ে খাঁচায় বন্দি রয়েছে। কিন্তু এটি কে নেবে কোথায় থাকবে তা নিয়ে এক সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
গত সপ্তাহে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার মঙ্গলকোঠা গ্রামে গভীর রাতে খাদ্যের সন্ধানে বসতবাড়িতে হানা দেয় এই বিশাল আকৃতির অজগরটি। কিন্তু বিধি বাম- ধরা পড়ে যায় এই অজগরটি। পরদিন ভোরে এই অজগরটি খাঁচায় বন্দি করে ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত উদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সাপটি আটক করার পরই বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করা হয়। তারা আবারও অজগরটি আলতাদীঘি শালবনে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয়দের প্রবল চাপের মুখে তা করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, পরে অজগরটি রাজশাহী বিভাগীয় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথাও হয়। কিন্তু তারা আসছি-আসছি করে সাপটি নিতে আসছেন না। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তার কার্যালয়ে রাখা ওই অজগর সাপটি এভাবে খাচায় আটকা থাকলে সাপপটির ক্ষতিও হতে পারে।
এদিকে রাজশাহী বিভাগীয় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অফিসিয়াল জটিলতার কারণে যেতে পারছেন না তিনি। সাপটিকে দেখাশুনা করার জন্য সেখানে লোক রাখা হয়েছে বলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান। তিনি বলেন, নিয়মিত খাবারও দেওয়া হচ্ছে সাপটিকে। কিন্তু কবে নাগাদ ওই অজগরটি নেওয়া হবে বা কোথায় নেওয়া হবে কিংবা ছেড়ে দেওয়া হবে কি না- সে বিষয়ে কোনো কিছুই জানাতে পারেন নি তিনি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার গভীররাতে খাবারের সন্ধানে মঙ্গলকোঠা গ্রামে আরাফাত নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে গোয়ালে হানা দেয় ওই অজগরটি। ঘটনাটি টের পেয়ে বাড়ির লোকজন প্রতিবেশিদের সহায়তায় অজগর সাপটি আটক করে। প্রশাসনে খবর দেয়। আগেও এই অজগরটি একটি শিয়াল খেয়ে ফেলে। পরে স্থানীয় বন বিভাগ অজগরটি আলতাদীঘি শালবনে ছেড়ে দেয়।