দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এতদিন সবার ধারণা ছিল, সুবিচারের গুণ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মাখলুকাত শুধু মানুষেরই আছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, শিম্পাঞ্জি স্বার্থপর নয়। এই প্রাণীরও আছে সুবিচারের গুণ। যোগ্য সঙ্গীকে পুরস্কৃত করার ক্ষমতা রয়েছে শিম্পাঞ্জির মধ্যে!
মার্কিন গবেষকরা মানুষের গুণ শিম্পাঞ্জির মধ্যেও আছে কি-না, তা পরীক্ষা করতে একটি বিশেষ খেলার ব্যবস্থা করেন। ছয়টি শিম্পাঞ্জিকে নিয়ে এ খেলার আয়োজন করা হয়। খেলা শেষে শিম্পাঞ্জিগুলোকে পুরস্কার দেওয়া হয়। একটি শিম্পাঞ্জিকে ওই পুরস্কার ভাগ করতে দেওয়া হয়। এতে দেখা যায়, শিম্পাঞ্জিটি তার যেসব সঙ্গী খেলায় বেশি সক্রিয় ছিল, তাদের পুরস্কারের বেশি অংশ সমভাবে দিয়েছে। যে সঙ্গী কিছুটা নিষ্ক্রিয় ছিল, তাকে তুলনামূলক কম অংশ দিয়েছে। গবেষকরা ২ থেকে ৭ বছর বয়সী ২০টি শিশুর ওপর এ গবেষণা চালিয়ে একই ফল পেয়েছেন। এতে দেখা যায়, সঙ্গীরা যদি যথাযথভাবে সহায়তা করা হয়, তবে পুরস্কার সমবণ্টন করে।
এ বিষয়ে প্রধান গবেষক জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ডারবি প্রক্টর বলেন, ‘আমরা মানুষ ও শিম্পাঞ্জি নিয়ে পৃথক গবেষণা করেছি। ফলাফলে দেখা গেছে, পুরস্কার বণ্টনের ক্ষেত্রে তারা একই পদ্ধতি অনুসরণ করছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে, শুধু মানুষ নয়, শিম্পাঞ্জির মধ্যে সুবিচারের গুণ রয়েছে।’ ডেইলি মেইল।