দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজকের গল্প অন্য কিছু নয়, ইন্দোনেশিয়ার ঐশ্বরিক ক্ষমতার এক মোরগের গল্প। আয়াম চেমানি নামক এক দুর্লভ প্রজাতির মোরগই এই গল্পের সূত্রপাত ঘটিয়েছে। যার দাম নাকি ৪ লাখ!
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দুর্লভ প্রজাতির মোরগ আয়াম চেমানি সম্পর্কে স্থানীয়দের বিশ্বাস যে, এটি জাদুর মোরগ, যার নাকি রয়েছে ঐশ্বরিক ক্ষমতা। ইন্দোনেশিয়ায় এ মোরগের দাম নাকি বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২ লাখ টাকা! তবে মার্কিন মুলুক হতে কিনলে নাকি চোখের পলকে এই মোরগের দাম হয়ে যাবে দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৪ লাখ!
সাধারণতভাবে মুরগীর মাংসের রং বড়জোর সাদা অথবা লালচে কিংবা বাদামি হয়ে থাকে- এর বেশি নয়। কিন্তু এই মোরগের মাংস থমথমে একেবারে রাতের মতো কালো!ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় আয়াম অর্থ মুরগি আর চেমানি অর্থ সম্পূর্ণ কালো।
আয়াম চেমানির উৎপত্তি স্থল হলো ইন্দোনেশিয়া। তবে উৎপত্তি স্থল হলেও খোদ ইন্দোনেশিয়াতেই একে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ইন্দোনেশিয়ার হাতে গোনা কিছু খামারি এই মোরগ পালন করে থাকেন। জানা যায়, এই অলৌকিক মোরগ আয়াম চেমানির একমাত্র রক্ত বাদে চোখ, ঠোঁট, চামড়া, গিলা, কলিজাসহ দেহের আর সবই কালো। এমন সর্বাঙ্গ কালো পশু-পাখি আর কখনও দেখা যায়নি।
এশিয়ায় এই অলৌকিক আয়াম চেমানি বেশি জনপ্রিয় এর মাংসের জন্য। এই মোরগের কালো মাংসে ঐশ্বরিক ক্ষমতা রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন অনেকেই। এর মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ। বিশেষ করে সন্তান জন্মদানের আগে এবং পরে আয়াম চেমানি’র মাংস খাওয়া বেশি উপকারি। এশিয়ানরা চেমানি’র মাংস খাওয়াকে ভাগ্যের সহায়ক এবং ভাগ্য পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা পালনকারী বলেও মনে করে থাকেন। এই আয়াম চেমানি প্রজাতির মুরগি বছরে ডিম পাড়ে প্রায় ৮০টি। ডিমের রংও সাদা না হয়ে, হয় ক্রিম রঙের।
আর এই ব্যতিক্রমি নানা কারণে ইন্দোনেশিয়ার আয়াম চেমানি মুরগিকে ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী হিসেবেই দেখা হয়ে থাকে। সে কারণেই এই মুরগির দাম এতো বেশি।
দেখুন ভিডিও
http://www.youtube.com/watch?v=45U9MCh_VdY&list=PLKYZgtlOqA3K59IHs3HUEAvUoPcFly1JC