দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদ আসলে কিছু স্পেশাল আইটেম থাকে। তবে এমন কিছু আইটেম রয়েছে যেগুলো আদিকাল থেকে প্রচলিত। যেমন চালের রুটি। ঈদের পরের দিন গ্রামাঞ্চলে চালের রুটি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।
যুগ যুগ ধরে চালের রুটির প্রচলন থাকলেও মূলত ঈদের পরের দিন কোরবানীর মাংসের সঙ্গে চালের রুটি যেনো এক অন্যরকম খাওয়া। বিশেষ করে গ্রামের মানুষদের মধ্যে এই প্রথা শত শত বছর ধরে চলে আসছে। আর তাই ঈদ আসলে এই চালের রুটি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।
ঈদের কলাইর ডালের খিচুড়ি, পোলাও, কোরমা, জর্দা আরও অনেক আইটেম থাকে। কিন্তু এর মধ্যে আরেকটি আইটেম গ্রাম-বাংলার ইতিহাসে রয়েছে। আর সেটি হলো চালের রুটি। ঈদের আগেই গ্রামে-গঞ্জে চাল ভাঙ্গানোর ধুম পড়ে যায়। আগে দেখা যেতো ঢেঁকি কিংবা উকলিতে চালদিয়ে আটা বানানোর দৃশ্য। কিন্তু এখন আর সেটি খুব একটা দেখা যায় না। এখন আধুনিক যুগ আসায় মিলে চাল ভাঙ্গানো হয়ে থাকে।
ঈদের দিন কোরমা পোলাও, সেমাই খাওয়ায় ব্যস্ত থাকতে হয়। আর তাই ঈদের পরের দিনকে বেছে নেওয়া হয় চালের রুটির জন্য। ঘরে ঘরে ব্যস্ত সবাই চালের রুটি বানানোর জন্য। ঈদের পরের দিনকার চালের রুটি খাওয়ার আনন্দ যেনো এক অন্য রকম অনুভুতি। ঘরে ঘরে ধুম পড়ে যায় কোরবানীর মাংসের সঙ্গে চালের রুটি খাওয়ার।
গ্রামাঞ্চলের ঘরে ঘরে চালের রুটি খাওয়ার এই ধুম দেখে আপনাদের সকলের নিশ্চয়ই সেইসব দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে? যে দিনগুলোতে চালের রুটি খাওয়ার আনন্দ আমরা অনেকেই উপভোগ করতাম।