দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত দু’দিনের বৈরি আবহাওয়ার কারণে সেন্টমাটিনে আটকা পড়েছে অন্তত ৩ শতাধিক পর্যটক। ঘূর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’র প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় পর্যটকরা আটকা পড়েছেন।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’র প্রভাবে বঙ্গোপসাগর এখন উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজার উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪/৫ ফুট। উত্তাল সাগরের কারণে প্রবালদ্বীপ হিসেবে খ্যাত সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক পর্যটক। ঈদের পর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বহু পর্যটক আসেন এখানে। এবারও এসেছেন। ৩টি জাহাজ যোগে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩ হাজার পর্যটক সেন্টমাটিনে ভ্রমণে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে আবার অনেকেই দ্বীপে রাত্রী যাপন করছেন। সাগর উত্তাল থাকার কারণে গতকাল শনিবার কোনো জাহাজ দ্বীপে না যাওয়ায় সেখানে আটকা পড়েছেন অন্তত সাড়ে ৩ শতাধিক পর্যটক।
আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে দ্বীপে সাড়ে ৩ শতাধিক আটকে থাকা পর্যটকদের টেকনাফে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন। আজ সকালে একটি জাহাজে আটকে পড়া পর্যটকদের ফেরত আনার কথা থাকলেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে জাহাজ যেতে পারেনি বলে জানা যায়।
বৈরি আবহাওয়ার করণে কক্সবাজারেও বহু পর্যটক বাইরে বের হতে পারছেন না। অনেকেই ঈদের আনন্দকে আরও আনন্দময় করতে কক্সবাজারের এসেছিলেন। তারা বৈরি আবহাওয়ার শিকার হয়েছেন। তবে ঈদের পরের দিন যারা গিয়েছিলেন তারা কক্সবাজারে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। তবে যারা দু’একদিন পরে গেছেন তারা এই বৈরি আবহাওয়ার কবরে পড়েছেন।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় হুদহুদের প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কক্সবাজারেও বৃষ্টিপাত-ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ইতিমধ্যেই ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।