দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মন্ত্রীত্ব হারানো, দলের পদ হারানো, মামলা মোকাদ্দমা সবই হয়েছে এখন শুধু বাকি আছে সংসদ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার হওয়া। অর্থাৎ ষোলকলা পূর্ণ হতে বাকি আছে এক!
গতকাল আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রীত্ব হারানো লতিফ সিদ্দিকীকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিল করা হয়। এরপর তিনি আর আপিলও করতে পারবেন না। এখন আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ থাকবে কিনা এ নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবে নির্বাচন কমিশন। এরপর ষোলকলা পূর্ণ হবে বিতর্কিত সাবেক এই মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর।
লতিফ সিদ্দিকী শুধু হজ বা কোন ব্যক্তিই নয়, তিনি হযরত মুহাম্মদ (সা:) সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন। একজন ইসলাম ধর্মের ধারক হয়ে এমন মন্তব্য শুধু শিষ্টাচার বহির্ভূতই নয়, রীতিমতো ধর্মচ্যূত হওয়ার শামিল। অনেক সময় অনেক ব্যক্তি ঝোঁকের বশে বিরূপ মন্তব্য করার পর ভুল শিকার করেন। কিন্তু তিনি শুধু ধর্মীয় অনুভূতি আঘাত করেই ক্ষান্ত হননি। তিনি তার বক্তব্যকে সঠিক বলে পরেও আবার সাফায় গেয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি যা বলেছেন তা প্রত্যাহার করবেন না।
এ ঘটনার পর পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানানোয় গত ১২ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকীকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নিউ ইয়র্ক সফরে এসে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ এবং তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী।’ তিনি প্রধানমন্ত্রীর পুত্র জয় সম্পর্কেও বিরূপ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা হওয়া সত্বেও তিনি রাষ্ট্রের কেও নন বলে মন্তব্য করেন লতিফ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘এই হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনো কাম নাই। এদের কোনো প্রডাকশন নাই, শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে।’ এমন মন্তব্য করেন।
এমন মন্তব্যের পর লতিফ সিদ্দিকীকে ‘মুরতাদ’ ঘোষণা দিয়ে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করে হেফাজতে ইসলাম। এছাড়া দেশব্যাপি চরম সমালোচনা শুরু হয়। যে কারণে সরকার প্রথমে তাকে মন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেন এরপর তাকে দল থেকে বহিষ্কারে প্রাথমিকভাবে শোকজ করে। গতকাল তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো। তার বিরুদ্ধে বহু হুলিয়া রয়েছে।