দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা অনেকেই অজ্ঞ। কিভাবে চললে শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখা অতি জরুরি। আর তাই মানব স্বাস্থ্যের নানা শর্ট নিউজ নিয়ে আমাদের আয়োজন সংক্ষিপ্ত স্বাস্থ্যকথা। আশা করি ছোট ছোট এসব স্বাস্থ্য ট্রিপস্ পড়ে সকলেই উপকৃত হবেন।
চিনির ক্ষতিকর দিক
বেশিরভাগ মানুষ সকালে চা বা কফির সঙ্গে এক থেকে দুই চামচ চিনি মিশিয়ে খেয়ে থাকে কিন্তু তারা জানেন না এই অতিরিক্ত চিনি আমাদের দেহের জন্য ততখানি ক্ষতিকর। কারণ চিনির ক্ষতিকর প্রভাবগুলো খুব অল্প সময়ে চোখে পড়ে না তাই আমরা সহজে বিশ্বাস করি না, চিনি আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর। আর ক্ষতিকর চিনির উপস্থিতি বেশি দেখা যায় জাংক ফুডে। এছাড়াও প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং অন্যান্য আর্টিফিশিয়াল মিষ্টিতে বিদ্যমান।
আমরা বিভিন্ন খাবার যেমন ফল, শস্য, বাদাম এবং শাক-সবজি থেকে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় এক ধরনের চিনি পেয়ে থাকি। আমরা মনে করি, এসব খাবারে আসলে কোন চিনি থাকে না এজন্য অতিরিক্ত মিষ্টি হিসেবে রিফাইন্ড বা দানাদার চিনি যোগ করি। কিন্তু এই চিনি আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর। ব্লিচিং এবং সালফোনেশন পদ্ধতিতে চিনি রিফাইন্ড করা হয় এবং সেখানে সালফার ব্যবহূত হয়। এই সালফার একটি বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান এবং আমরা যখন চিনি বা চিনি জাতীয় যে কোন মিষ্টি দ্রব্য গ্রহণ করি তখন খুব অল্প পরিমাণে এই বিষাক্ত উপাদান আমাদের দেহে প্রবেশ করে।
জুস খাওয়া কেন প্রয়োজন
জুস শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই জুস খাওয়া প্রয়োজন।
এই জুস শরীরের কি কি উপকার করেঃ
# কিছু কিছু ভিটামিন তাপ ও ধৌত করার ফলে গুণাগুণ কমে যায়। কিন্তু জুসে সব ধরনের ভিটামিন ও খনিজ লবণ অটুট থাকে। ফলে সহজেই শরীরে ভিটামিনের অভাব বা ঘাটতি পূরণ করে দেহে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য রক্ষা করে।
# জুন এক ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য, যা কোন ধরনের প্রক্রিয়াজাত না করেই তৈরি করা হয়। তাই জুস সহজে হজম হয়। ষ জুসে কোন ধরনের ভেজাল বা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান না থাকার ফলে অন্ত্রের রিসেপ্টর কোষগুলো সহজে সব খাদ্য উপাদান শোষণ করতে পারে।
# তাজা ফল ও শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। আর এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্যান্সার, টিউমার, চুলপড়া ও অকাল বার্ধক্যসহ নানা রকম রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।
# ফল ও শাক-সবজিতে প্রচুর আঁশ থাকে যা শরীর হতে ক্ষতিকর উপাদান বের করে দেয়।
# কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইল্স, ফিস্টুলা ও কোলন ক্যান্সার থেকে ঝুঁকিমুক্ত রাখে।
# শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
# ডায়াবেটিস, হূদরোগ ও হাইপারকোলেস্টেরলেমিয়া ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
# বদহজম, গ্যাস্ট্রাইটিস ও আলসার প্রতিরোধ করে।
# হাইপার এলার্জিক ইফেক্ট কমায়।
# সর্দি, কাশি, অ্যাজমার প্রাদুর্ভাব হ্রাস করে।
ডা. আলমগীর মতি
হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক
ইনফ্লুয়েঞ্জা রোধের নতুন উপায়
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে আরো কার্যকর ও নতুন একটি যৌগ বা এনজাইম খুঁজে পেয়েছেন কানাডার বিজ্ঞানীরা। তাঁদের বিশ্বাস, নতুন যৌগ এই ভাইরাসকে ধ্বংস করতে সক্ষম হবে। এর থেকে নতুন ওষুধ তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সিমন ফ্রেসার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাসবিদ অধ্যাপক মাসাহিরো নিকুরার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল এ বিষয়ে গবেষণা করেন। গবেষণার সময় তাঁরা নতুন ধরনের একটি আণবিক যৌগের সন্ধান পান। এই যৌগটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসকে একেবারে ধ্বংস করে ফেলার ক্ষমতা রাখে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানভিত্তিক খবরের ওয়েবসাইট সায়েন্স ডেইলিতে এ ব্যাপারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজ্ঞানীরা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বংশ বৃদ্ধি ও বিস্তারের জন্য দায়ী এনজাইম নিয়ে কাজ করে এ সাফল্য অর্জন করেন।
গবেষকরা বলেন, নতুন যৌগটি দিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জারোধী যে ওষুধ তৈরি করা হবে তার সঙ্গে কোনোভাবেই খাপ খাওয়াতে পারবে না ভাইরাসের প্রজাতিগুলো। মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জার বিস্তারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে এই যৌগ বা এনজাইমটি। পানিতে দ্রবণীয় বৈশিষ্ট্যের কারণেই এই যৌগ অত্যন্ত কার্যকর।
বর্তমানে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে টামিফ্লু নামে যে ওষুধটি ব্যবহার করা হয় সেটি কার্যকরিতা প্রায় হারাতে বসেছে। কেননা ক্রমেই এই ওষুধের সঙ্গে লড়াইয়ের প্রায় সব পথ চিনে ফেলেছে ভাইরাসগুলো। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।