দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জামায়াত-শিবির যখন পুলিশের ওপর হামলা চালায় তখন পুলিশ নির্বিকার দাঁড়িয়ে থেকে মার খেতে দেখা যায়। আবার এই পুলিশ নারীদের টানা হেঁচড়া করে ধরে নিয়ে যায়। তাও আবার সংসদ সদস্য! পুলিশের হিসাব-নিকাশ বোঝা বড়ই দায়!
বিএনপি আহুত আজকের (৭ মার্চের) হরতাল চলাকালে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংরক্ষিত আসনের চার সাংসদ আশিফা আশরাফী পাপিয়া, শাম্মী আক্তার, রাশেদা বেগম হীরা ও রেহেনা আক্তার রানু বিএনপি কার্যালয়ের ঢোকার চেষ্টা করলে আটক করে পুলিশ। অথচ সারাদেশে জামায়াত-শিবির যেভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছে সে তুলনায় তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ইতিপূর্বে বরং দেখা গেছে, জামায়াত-শিবির হামলা করেছে আর পুলিশ পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে থেকে মার খেয়েছে। কখনও কখনও দেখা গেছে, পুলিশ শিবির ক্যাডারদের তাড়া খেয়ে পালাচ্ছে! অথচ হরতালের দিন চারজন মহিলা সংসদ সদস্যকে যেভাবে টানা-হেঁচড়া করে গ্রেফতার করা হলো তা জাতির জন্য শুভকর নয়। পুলিশ মাঝে-মধ্যেই এমনসব বিতর্কিত ভূমিকা পালন করছে। আজ এই ঘটনার পর তাই অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে পুলিশ তাহলে কি সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে?
কক্সবাজারে গত সপ্তাহে আটকা পড়েছিল কয়েক হাজার পর্যটক। জামায়াত-শিবির রাস্তা ব্লক করে রেখেছে বলে বাস যেতে পারছে না তা আমরা টিভি চ্যানেলগুলোতে দেখেছি। পরে বিশেষ বিমান ও পানি জাহাজে পর্যটকদের কক্সবাজার থেকে ফিরানো হয়। তাহলে আমাদের পুলিশরা কি করলো? পুলিশ যদি রাস্তার অবরোধ সরাতে না পারে তাহলে তাদের দিয়ে কি হবে? এ প্রশ্ন এখন এদেশের সচেতন প্রতিটি মানুষের মনে।
‘নারী এমপিদের মুক্তি না দিলে আরো কঠোর কর্মসূচি’
বিএনপি অফিসের সামনে থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া চার নারী এমপিকে মুক্তি না দিলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করেছেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
বৃহস্পতিবার হরতাল চলাকালে সংরক্ষিত আসনের চার সাংসদ আশিফা আশরাফী পাপিয়া, শাম্মী আক্তার, রাশেদা বেগম হীরা ও রেহেনা আক্তার রানুকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর পার্টি অফিসের তালাবদ্ধ গেটের ভেতর থেকে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
ফারুক বলেন, “অন্যায়ভাবে টেনেহিঁচড়ে চার নারী এমপিকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ মুহূর্তে তাদের ছেড়ে না দিলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। আর এতে কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।”
তিনি বলেন, “সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন শুরু হয়েছে। সরকার তার আচরণ ঠিক না করলে এ আন্দোলনেই সরকারের পতন ঘটানো হবে।“