দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হঠাৎ যদি হিমঘরে কোনো লাশ কথা বলে ওঠে, তাহলে ভুত ভুত করে চিল্লানো ছাড়া কি আর কোনো উপায় থাকে? ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। হিমঘরে কথা বলে উঠলো এক ‘লাশ’। ঘটনাটি ঘটেছে পোল্যান্ডে।
অনেকটা রূপকথায় গল্পের মতোই। রূপকথার অনেক গল্প আমরা শুনেছি। বিশেষ করে ভুত-পেতের কথা শুনলে আমাদের লোম খাড়া হয়ে যায়। এমনই এক রূপকথার গল্পের মতোই ঘটনা ঘটেছে পোল্যান্ডে। পোল্যান্ডের একটি হাসপাতালের হিমঘরে একটি লাশ কথা বলে উঠলে কর্মচারীরা হতচকিত হয়ে পড়েন। ভুত দেখার মতো চমকে ওঠেন।
ঘটনাটি আসলে এমন: এক গর্ভবতী নারীর পেটে লাথি মারে তারই স্বামী। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আইনানুযায়ী তাকে পাঠানো হয় লাশঘরে ময়না তদন্তের জন্যে। যথারীতি ডোম এসে সেই নারীর ময়না তদন্তের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। কিন্তু ময়না তদন্তের আগ মুহূর্তেই চলে যায় বিদ্যুৎ। বাধ্য তার লাশ রেখে দেওয়া হয় হিমঘরে। পরেরদিন সকালে ডোম এসে দেখেন ওই নারী অনেকগুলো লাশের পাশে বসে রয়েছেন। কোলে তার ছোট্ট একটি শিশু!
পোল্যান্ডে ঘটে যাওয়া ওই বিস্ময়কর ঘটনায় মৃত ভেবে ৯১ বছর বয়সী নারী জেনিনা কলভিয়েজ রাখা হয় মর্গের ওই হিমঘরে। দুই দিন পর তার শেষকৃত্য হওয়ার কথা ছিল। অথচ মাত্র ১১ ঘণ্টা যেতেই মর্গে নড়ে ওঠেন ওই নারী। ওই নারী হিমঘরের ডোমকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘এতো ঠাণ্ডা লাগছে কেন?’
জানা গেছে, জেনিনা কলভিয়েজ দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নেওয়া হয় নিজ বাড়িতে। গরম পানিতে গোসল সেরে ফুরফুরে কলভিয়েজ জানান, তিনি এখন বেশ ভালো বোধ করছেন। খবর বিবিসি’র।