দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লতাপাতায় আচ্ছাদিত অট্টালিকা কাহিনী। ভবনজুড়ে লতাপাতায় আচ্ছাদিত এই ভবনটি আরডিআরএসের রংপুর কার্যালয়। এক মনোরম ভবনে শোভাবর্ধন করছে লতাপাতা।
এটি আরডিআরএসের রংপুর কার্যালয়। রংপুর শহরের জেল রোডে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীতে তাকাতেই যে কারও চোখ আটকে যাবে। সবগুলো ভবন আপাদমস্তক লতাপাতায় আচ্ছাদিত! আবার সেখানে রয়েছে আরও সারি সারি শোভাবর্ধক গাছ। ফল ও মনোমুগ্ধকর ফুফের গাছ রয়েছে এখানে। গাছপালা ও তৃণলতা এতো সুন্দর হতে পারে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।
মূল ফটক হতে পূর্ব দিকে যতো দূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। মনে হতে পারে এটি কোনো বন বিভাগের কার্যালয়। এটি আসলে বেসরকারি সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশের রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের কার্যালয় এবং অতিথিশালা।
এখানকার বিভিন্ন গাছপালা ও লতাপাতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে ‘ওয়াল ক্রিপার’। গাছটি এখানকার ভবনগুলোকে বেঁধেছে যেনো এক পরম মমতায়। এর ছোঁয়ায় দালানগুলো যেনো পেয়েছে প্রাণ। হয়ে উঠেছে এক নান্দনিক শোভাবর্ধনকারী হিসেবে। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি প্রকাশিত উদ্ভিদ ও প্রাণি জ্ঞানকোষের তথ্য অনুযায়ী, এটি লতাডুমুর বা দেয়ালডুমুর নামে পরিচিত। অনেকে আবার লতাবটও বলেন। এর বৈজ্ঞানিক নাম Ficus pumila। ইংরেজি নাম Fig Ivy, Creeping Fig, Climbing Fig । জানা যায়, ডুমুর প্রজাতির এই গাছের জন্ম চীন এবং জাপানে। এটি একটি বহুবর্ষজীবী অধিক শাখান্বিত লতানো গাছ হিসেবে পরিচিত। অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ফুল এবং ফলও হয়। অবশ্য ফল খাওয়াও যায়। সাধারণত শোভাবর্ধক হিসেবেই দেওয়ালে লাগানো হয়ে থাকে এই উদ্ভিদটি।
আরডিআরএস সূত্রে জানা যায়, এই ক্যাম্পাসে শতাধিক প্রজাতির গাছ আছে। ১৯৯৯ সালের শেষ বা ২০০০ সালের শুরুতে ওয়াল ক্রিপার লাগানো হয়। পুরো ভবন ছেয়ে ফেলতে এটির ১০-১২ বছর সময় লেগে গেছে। এটি পরিবেশবান্ধব। দেওয়াল বা ভবনের কোনো ক্ষতিও করে না। ছোট ছোট পাখিরা এসে এরমধ্যে ঘুরে ঘুরে পোকামাকড় খায়। বছরে অন্তত দুই দফায় ছেঁটে দিলে মাসের পার মাস এর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। এমন সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ মনকে ভালো করে দেয়।