দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কালের পরিবর্তনের ছোঁয়া এখন গ্রাম-বাংলাতেও লেগেছে। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আজ বিলুপ্তির পথে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন ঢেঁকির কদর হারিয়ে ফেলছে গ্রাম-বাংলার কৃষকরা। এখন গ্রামেও বিদ্যুৎ গেছে- তাইতো ধান বানতে এখন আর ঢেঁকির প্রয়োজন পড়ে না।
ধান, চালের আটা ও চিড়া ভাঙ্গানোর জন্য বৈদ্যুতিক মিল হওয়ায় এখন কৃষকরা সহজেই ধান , আটা ও চিড়া কম সময়ে ও কম খরচে ভাঙ্গাতে পারছেন। তাই কৃষকরা বাড়িতে ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি রাখছেন না। তারা বৈদ্যুতিক মিলের ওপর নির্ভর হয়ে পড়ছেন। ঢেঁকিতে বানা ধানের চালের ভাত , খিচুড়ি, খির ও চিড়ার স্ব-স্বাদ ও ভিটামিন ছিল প্রচুর।
সেই আগের দিনে কৃষকদের বাড়ির বউদের অনেক কষ্ট করে ধান ঢেঁকিতে পাড় দিয়ে ভাঙ্গানোর পর চাল ও চিড়া তৈরি হত। ধান ভাঙ্গানোর বৈদ্যুতিক মিল হওয়াই কৃষকদের বাড়ির বউদের আর কষ্ট করে ঢেঁকিতে পাড় দিয়ে ধান ভেঙ্গে চাল , আটা ও চিড়া তৈরি করা লাগছে না।
বর্তমানে গ্রামের দুএক জন কৃষকের বাড়িতে ঢেঁকি দেখা যায়। অদুর ভবিষ্যতে হয়তো গ্রামের কৃষকের বাড়িতে ঐতিহ্যবাহি ঢেঁকি আর দেখা যাবে না। কালের আবর্তে হারিয়ে যাবে গ্রাম-বাংলার শত বছরের এই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি- যা এখনও আমাদের দেশের ঐতিহ্যকে বহন করে।