দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এয়ার এশিয়ার যে ইন্দোনেশীয় বিমানটি নিখোঁজ হয়েছে সেই ঘটনা থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া এক পরিবারের কাহিনী প্রচার হলো আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে।
একটি পরিবারের বেঁচে যাওয়ার ঘটনাকে অনেকেই বলছেন এটিও একটি অলৌকিক ঘটনা। এয়ার এশিয়ার যে ইন্দোনেশীয় বিমানটি নিখোঁজ হয়েছে, ওই বিমানে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন ১০ জন তাও আবার একই পরিবারের সদস্য। তাদের বেঁচে যাওয়ার কাহিনী হচ্ছে, বিমানবন্দরে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় ফ্লাইট মিস করেন ওই পরিবার। ওই বিষয়টি তখন তাদের জন্য বিড়ম্বনা মনে হলেও তা সৌভাগ্য বয়ে এনেছে। নিখোঁজ হওয়ার এই দুর্ভাগ্য হতে রক্ষা পায় ওই পরিবার।
ভাগ্যের জোরে রক্ষা পাওয়া একজন হলেন ক্রিস্টিয়ানাওয়াতির (৩৬)। তার ভাষ্য, ১০ জনের মধ্যে তাঁর নিজের পরিবার, তাঁর মা এবং ছোট ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরাও ছিল। এ ১০ জনের মধ্যে ৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ৪ শিশু। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে তারা সিঙ্গাপুর যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। তবে বিমানের সময়সূচি নিয়ে জটিলতা হওয়ায় তারা সময়মতো পৌঁছাতে পারেননি। বিমানটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ইন্দোনেশিয়া ছেড়ে যাওয়ার সময় ছিল সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। ওই বিমান উড্ডয়নের সময় ২ ঘণ্টা এগিয়ে ভোর ৫টা ৩০ মিনিট করা হয়। বিষয়টি জানানোর জন্য এয়ার এশিয়া কর্তৃপক্ষ তাদের ফোন এবং ই-মেইল করে। কিন্তু তারা সময়মতো জানতে পারেননি। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিমানবন্দরে গিয়ে যখন জানতে পারেন যে বিমানটি চলে গেছে, তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বিকল্প আরেকটি বিমানের টিকিট ইস্যু করার সময় তারা জানতে পারেন ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্রিস্টিয়ানাওয়াতি বলেছেন, ‘সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের যাত্রা বাতিল করি। খবরটি শুনে অত্যন্ত মর্মাহত হই এবং কেঁদে ফেলি। আমি এবং আমার পরিবার যে বিমানটি ধরতে পারলাম না, এটি সম্ভবত ঈশ্বরেরই একটি পরিকল্পনা ছিল আর আড়ালে ছিল আশীর্বাদ।’
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই নিখোঁজ হওয়া এয়ার এশিয়ার বিমানটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া গেছে। উদ্ধার করা হলো ৪০ আরোহীর লাশ। ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের নিকটবর্তী জাভা সমুদ্র হতে এসব মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে একই এলাকায় বিমানটির ধ্বংসাবশেষের অংশ খুঁজে পান অনুসন্ধানকারীরা।