দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভুতের গল্প শুনলে আমরা অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠি। তবে আজ যে ভূতের শহরের কাহিনী আপনাদের সামনে তুলে ধরবো সেই শহরটির নাম ‘প্রিপায়াত’!
আসলে ভূতের শহর কেনো বলা হয় বোধগম্য নয়। কারণ এমন একটি শহরের কথা আপনাদের বলা হচ্ছে যেখানে যেমন কোনো মানুষ বসবাস করেন না, সেখানে কোনোই ভূতও মনে হয় বসবাস করা সম্ভব নয়। তেমনই একটি শহরের গল্প। সে শহরে রয়েছে ১৩ হাজারেরও বেশি অ্যাপার্টমেন্ট, ১৫টি প্রাইমারি স্কুল, ১টি হাসপাতাল, ৩৫টি খেলার মাঠ, ১০টি জিম, ১টি রেলওয়ে স্টেশন এবং আরও রয়েছে ১৬৭টি বাসও। কিন্তু তাতে কি সেখানে কোনো জনমানব নেই। সেখানে ভূতের বাস। সেখানকার সবকিছুই পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। এমনকি গৃহস্থালির জিনিসপত্র, শিশুদের খেলনাও পড়ে রয়েছে সব।
হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে সবকিছু থাকা সত্বেও কেনো পরিত্যক্ত। এর কারণ সেখানকার এসব বাড়ি ঘর ছেড়ে সব মানুষ চলে গিয়েছিল মাত্র ২ দিনের মধ্যে। ‘প্রিপায়াত’ শহরটি তৈরি হয়েছিল মূলত চেরনোবিল আণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মীদের থাকার জন্য। এ রকম শহর পৃথিবীতে আরও রয়েছে। তবে ‘প্রিপায়াত’ শহরটি সম্ভবত সব থেকে কম আয়ু পেয়েছিল।
সরকারিভাবে ‘প্রিপায়াত’কে শহর হিসেবে ঘোষণা করা হয় ১৯৭৯ সালে। ২৬ এপ্রিল ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল দুর্ঘটনার ২ দিনের মধ্যে এতো সুন্দর পরিপাটি করে সাজানো একটি শহর ভূতের শহর বনে যায়। আর সেই থেকে আজও সেখানে নেই কোনো জনমানব। সেখানে এখন শুধুই ভূতের বাস। কেও ভুলেও সেখানে যাওয়ার কথা মনে আনে না। কারণ পারমাণবিক চুল্লি বিস্ফোরণের পর সেখানে গাছ-পালা জন্মায় না। আবার মানুষের জন্যও ওই স্থানটি একেবারেই অনুপযোগি। তাই পৃথিবীর ইতিহাসে ‘প্রিপায়াত’ শহরটি হয়তো আজীবন ভূতের শহর হিসেবেই পরিগণিত হবে।