দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীতে কত রকম ঘটনা ঘটে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। এমনই একটি ঘটনার খবর সকলকে হতবাক করেছে। ঘটনাটি হলো এক বাবা-মা তার জীবিত মেয়ের শ্রাদ্ধ করেছেন!
জয়ন্তী কানু নামে ওই মেয়ের অপরাধ ছিল পরিবারের পছন্দের পাত্রকে ছেড়ে প্রেমিককে বিয়ে করা। মেয়ের এই আচরণে ক্ষুব্ধ বাবা তাই ‘ঘটা’ করে মেয়ের শ্রাদ্ধ করলেন। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার জগাছায়। এই ঘটনায় এলাকাবাসী হতবাক।
মেয়েটির বাবা তার মেয়ের বিয়ে মেনে না নেওয়ার কারণ হিসেবে জানা যায়, জয়ন্তী কানুর সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক হয় স্থানীয় ধাওড়ার এক বাসিন্দা রাজু সরকারের। প্রেমিক সুপ্রতিষ্ঠিত নন। ভাল ব্যবসা বা বড় চাকরিও তার নেই। বংশমর্যাদা এবং অর্থবলেও রয়েছে পিছিয়ে। এই যুক্তিতে মেয়ের প্রেমিককে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন মেয়ের বাবা ও পরিবারের সদস্যরা। আর তাই তড়িঘড়ি পাত্র দেখে মেয়ের বিয়েও ঠিক করে ফেলেছিলেন। বিয়ের কেনাকাটা হতে নিমন্ত্রণ, সবই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিয়ের মাত্র ক’দিন আগে ওই তরুণী বাড়ি হতে পালিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করেন।
বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার দিনেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন তার বাবা-মা। ১২ দিন পরে মেয়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজনও করলেন তারা। ঘটনাচক্রে সেটি ঘটলো শনিবার, অর্থাৎ ভালবাসার দিন ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, এইদিন অশৌচান্তের সমস্ত নিয়ম মেনেই পরিবারের সমস্ত পুরুষের মাথা মুণ্ডনও করা হয়। রীতিমতো পুরোহিত ডেকে জীবিত তরুণীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করা হয়। এমনকি, সাদা কাপড়ের প্যান্ডেল তৈরি করে আত্মীয়স্বজনদের খাওয়া-দাওয়ারও ব্যবস্থা করেন তারা।
পুলিশ সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, ওই তরুণীর বাবা জাগাছা থানায় তার নাবালিকা মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশও তদন্তে যায় তরুণীর শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তু সেখানে ওই তরুণী নিজের জন্মের সার্টিফিকেট দেখিয়ে পুলিশকে জানান, দু’দিন আগেই তার বয়স আঠেরো পেরিয়েছে। যে কারণে পুলিশের আর কিছু করার নেই। কিন্তু বাবা-মায়ের জীবিত মেয়ের শ্রাদ্ধকরার এমন কাণ্ড দেখে হতবাক হয়েছেন।