দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছেলের বয়স ১৮ পেরোলেই দায়মুক্ত হবেন বাবা-মা। অপরদিকে মেয়ের বিয়ে পর্যন্ত বাবা-মার দায়িত্ব তার দেখভালের। এমনটা হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে ভারতের গুজরাত হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট বলেছে, মেয়ের বিয়ে না-দেওয়া পর্যন্ত তাঁর কোনো দায়িত্বই এড়াতে পারবেন না তার বাবা-মা। মেয়ের বয়স ১৮ হয়ে গেছে বলে বাবা-মা কাঁধ থেকে দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলবেন, সেটি হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে ভারতের গুজরাত হাইকোর্ট। কিন্তু ছেলেদের জন্য এই নিয়ম কোনো প্রকারেই খাটবে না।
সিআরপিসি-র ১২৫ ধারার উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছে, ছেলে একবার প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলে, তার খোরপোশের দায়িত্ব বাবা বা মায়ের উপর বর্তাবে না। যদি না ছেলে শারীরিক কিংবা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে থাকে।
একটি বিবাহবিচ্ছেদ মামলার পিটিশনের প্রেক্ষিতে ছেলে-মেয়ের দেখভালের প্রসঙ্গ উঠায়, গুজরাত হাইকোর্ট সন্তানের খোরপোশের বিষয়টি স্পষ্ট করে দিলো।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ২০০৬ সালে দীনেশ ওঝা নামে গুজরাতের জনৈক চিকিৎসক বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানালে, স্ত্রী নীতা আহমেদাবাদ খোরপোশ চেয়ে পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালত নির্দেশ দেয়, স্ত্রী এবং ছেলের খোরপোশ দিতে হবে ওই চিকিৎসককে। কিন্তু ছেলের বয়স ১৮ হয়ে গেলে, তিনি ইচ্ছে করলে ছেলের খোরপোশ বন্ধ করে দিতে পারেন। আদালতের এই রায়ে খুশি না-হয়ে, হাইকোর্টের স্মরণাপন্ন হন মহিলা। মহিলার আইনজীবীর বক্তব্য হলো, যতোদিন না ছেলে রোজগার করছেন, ততোদিন বাবাকে খোরপোশের টাকা দিতে হবে।
বিষয়টি হাইকোর্টে উঠলে, বিচারপতি জানিয়ে দেন যে ছেলের বয়স ১৮ হয়ে গেলে বাবা কিংবা মাকে খোরপোশ দিয়ে যেতে হবে, এমন কোনও আইন ভারতের নেই। তাই ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলে বাবা টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন।