দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দাফনের ৮ দিন পর জীবিত উদ্ধার হলো এক নবজাতক। চীনের দক্ষিণ প্রদেশের গুয়াং শিং এলাকায় এক দম্পত্তির ঠোঁট কাটা নবজাতক জন্ম নেওয়ায় দাফন করে দেওয়া হয়েছিল।
চীনের দক্ষিণ প্রদেশের গুয়াং শিং এলাকার ঘটনা। তিয়ানডঙ কাউন্ট্রি পিপলস হাসপাতালে জন্ম নেয় ওই শিশু। এক দম্পত্তির ঠোঁট কাটা নবজাতক জন্ম নেওয়ায় দাফন করে দেওয়া হয়েছিল ওই নবজাতককে। কিন্তু ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’ মহান সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় দাফনের ৮ দিন পরেও শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার হলো।
প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুটির বাবা-মা চায়নি ঠোঁটকাটা শিশুটিকে লালন পালন করতে। সেজন্য একটি দূরগ্রামে বাচ্চাটিকে ফেলে দেয়। ২ দিনপর বাচ্চাটির মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর শিশুটিকে কাঠের বাক্সে দাফন করে দেওয়া হয়। কিন্তু পানি এবং বাতাস শিশুটি পর্যন্ত পৌঁছে শিশুটি জীবিত থাকে। বার্তা সংস্থা এএফপি চীনের বেইজিং থেকে স্থানীয় একটি অনলাইন পত্রিকার বরাত দিয়ে এমন একটি খবর প্রকাশ করেছে।
চীনের প্রধান টিভি চ্যানেল সিসিটিভি তার অফিসিয়াল সাইটে বলেছে যে, নবজাতককে জুতার বাক্সের সাইজের একটি বাক্সে দাফন করা হয়। কিন্তু বাক্সের আশপাশে গজে উঠা উঁচু ঘাস হতে ওই শিশুটি অক্সিজেন গ্রহণ করে। প্রথমে শিশুটির সন্ধান দেন এক মহিলা। শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনেই ওই মহিলা শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
অনলাইনটির খবরে আরও বলা হয়, চিকিৎসকরা এ নবজাতকের চিকিৎসার সময় মুখ হতে মাটি বের করেন। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর শিশুটির ৩ আত্মীয়সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।