দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। এই সফরে কোন দেশ বেশি লাভবান হবে তা নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত করে বলা যায় সর্ম্পক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এই সফর।
মোদির ঢাকা সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় ছিল তিস্তা চুক্তি। তবে সফরের আগেই ভারত জানিয়ে দিয়েছে আপাতত তিস্তা চুক্তির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে জনগণকে ধৈয্য ধারণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর উপলক্ষ্যে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মোদির এই সফরে তিস্তা চুক্তি না হলেও কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সফরের বিস্তারিত কর্মসূচি সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে মোদি লিখেছেন, দুদেশের জনগণ এবং বৃহত্তর ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য সুফল বয়ে আনবে এই ঢাকা সফর। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি, অভ্যন্তরীণ নৌ-প্রটোকল, উপকূলে জাহাজ চলাচল চুক্তিসহ ২২টির মতো চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই এবং নবায়ন হবার কথা রয়েছে। বিশেষ করে বহুল প্রতীক্ষিত সীমান্ত চুক্তির সব বাধা নিরসন হওয়ার কারণে সেই চুক্তিও হবে নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের একটা ঐতিহাসিক দিক।
এদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদি আসার আগেই ঢাকায় পৌঁছেছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ৮.৪০ মিনিটের দিকে মমতাকে বহনকারী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। বিমানবন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, দু’দিনের সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে।