দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন। নিরলস প্রচেষ্টার পর সম্প্রতি সৌরজগতের শেষ প্রান্তের প্লুটো গ্রহের মুখোমুখি হয়েছে মহাকাশ যান নিউ হরাইজন্স।
সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে বলা হয়েছে, আজ নয়- ৫০ বছর আগে মানুষ প্রথম দেখেছিল সৌরপরিবারের সদস্য মঙ্গলগ্রহকে। ম্যারিন ফোর মহাকশ যান মুখোমুখি হয়েছিল মঙ্গলের ১৯৬৪ সালে। তারপরই মঙ্গলের ছবি দেখতে পায় পৃথিবী। তারপর ২০ বছরের মাথায় সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির ছবি প্রকাশিত হয়। এরপর সৌজন্যে গ্যালিলিও মহাকাশ যান। কিন্তু মানুষের স্বপ্ন থেমে থাকেনি। মানুষের স্বপ্নকে সফল করতে বিজ্ঞানও থেমে থাকেনি। আর তাই নিরলস প্রচেষ্টার পর সম্প্রতি সৌরজগতের শেষ প্রান্তের প্লুটো গ্রহের মুখোমুখি হয়েছে মহাকাশ যান নিউ হরাইজন্স।
খবরে বলা হয়েছে, মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এক অসাধারণ নজির রেখেছে নাসার পাঠানো এই মহাকাশযান নিউ হরাইজন্স। সৌরজগতের প্রান্তবাসী সদস্য প্লুটোর ৭ হাজার ৭৬৭ মাইলের মধ্যে পৌঁছেগেছে এই মহাকাশযান।
২০০৬ সালে প্লুটো অভিযানে নিউ হরাইজন্স পৃথিবী হতে যাত্রা করে। প্রায় ১০ বছরে ৩শ’ কোটি মাইল পেরিয়েছে নিউ হরাইজন্স। জানা যায়, সম্প্রতি নিউ হরাইজন্স প্লুটোর মাত্র ৯ হাজার ৯৭৭ কিলোমিটার দূর হতে গ্রহটির ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছে।
এটি আবিষ্কারের পর হতে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সৌরজগতের নবম গ্রহ হিসেবে পরিচিত ছিল প্লুটো। তবে ২০০৬ সালের ২৪ আগস্ট ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন গ্রহের সংজ্ঞা নতুন করে নির্ধারণ করলে প্লুটো তার গ্রহত্ব হারায়। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, গ্রহ হিসেবে মর্যাদা হারানো প্লুটোর ভাগ্য খুলতেও পারে। গ্রহের ‘সম্মান’ ফিরতে পারে প্লুটোর।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নিউ হরাইজন্সের পাঠানো ছবিতে ধরা পড়েছে বামন গ্রহর অজানা রূপসমূহ। নিউ হরাইজন্সের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, যতটা আন্দাজ করা গিয়েছিল, প্লুটো তার থেকেও আকারে কিছুটা বড়।