দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন একটি খবর পড়ে যে কেও বিস্মিত না হয়ে পারবেন না। কারণ লাশ কি কখনও কথা বলতে পারে? ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। কফিন হতে বাঁচার জন্য এক ‘লাশ’ আর্তনাদ করে ওঠে।
এই ঘটনাটি এক কিশোরীর। তার নাম নেইসি পেরেজ, বয়স মাত্র ১৬ বছর। হন্ডুরাসে বসবাস করে সে। গর্ভে তিন মাসের সন্তানসহ রাতে ‘মৃত্যু’ হয়েছিল তার। চিকিৎসকরা ডেথ সার্টিফিকেটও ইস্যু করেছিল। তারপর নিয়ম অনুযায়ী দেহ কফিনবন্দিও করা হয়। কিন্তু হঠাৎ ভেসে এলো গোঙানির শব্দ। বাঁচার জন্য আর্তনাদ! ভয়ে, বিস্ময়ে স্তব্ধ সকলেই। কারণ হলো আওয়াজটা তো স্পষ্ট কফিন হতেই আসছে। অনেকের কাছেই এমন ঘটনা কোনো ভুতের গল্প মনে হতে পারে। কিন্তু আসলে বাস্তবেই ঘটেছিল এমন ঘটনা। তারপর কফিন ভেঙে উদ্ধার করা হলো জীবন্ত ওই কিশোরীকে।
হন্ডুরাসে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা সারাবিশ্বে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে। সে দেশের একটি খবরের চ্যানেলে দেখানোও হয়েছে এই কিশোরীর গোটা ঘটনাটি। ভিডিওতে দেখা যায়, নেইসির কফিনবন্দি দেহ রেখে চলছে শেষকৃত্য অনু্ষ্ঠান। তারপরই কফিনটি কবর দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই মাটি খোঁড়ার কাজও হয়ে গেছে। এমন সময়, কফিনের মধ্যে হতে গোঙানির শব্দ ও বাঁচার আর্তনাদ। কফিন থেকে এমন শব্দে অনেকেই ভূত ভয়ে পালিয়েও বাঁচেন।
কফিনের মধ্যে থেকে চিৎকার ক্রমেই বাড়তে থাকে। কিশোরীর স্বামীর বুঝতে অসুবিধা হয়নি ওটা তার মৃত স্ত্রীর গলা। অবশেষে কফিন ভাঙতেই সবার নজরে এলো মৃত ঘোষিত মেয়েটি তার হাত পা নাড়ছেন এবং গোঙাচ্ছেন। এরপর কিশোরীকে কফিন থেকে বের করে দ্রুত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পরও পরে সতিই মারা যায় কিশোরীটি। দীর্ঘক্ষণ অক্সিজেন না পাওয়ার কারণে সে পরবর্তীতে আর বাঁচতে পারেননি বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।