দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের ভারতে রাখার সেদেশের সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আসামে বনধ্ পালিত হয়েছে।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের বৈধ কোনো নথিপত্র ছাড়াই ভারতে থাকার ব্যাপারে সেদেশের কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে ভারতের আসাম রাজ্যে। আসামে ১২ ঘণ্টার এই বনধ্ ডাকায় স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
সম্প্রতি ভারত সরকার ঘোষণা করে যে, ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশের হিন্দুদের বৈধ কোনো নথিপত্র ছাড়াই বসবাসের বৈধতা প্রদান করা হবে। এই সিদ্ধান্তের পর ক্রমেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আসামে। অন্যান্য ছাত্র ইউনিয়নের সমর্থনে অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ এই বনধ্ ডাকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এশিয়ান এইজ। বিক্ষোভ যখন জোরালো হতে থাকে, তখন কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতিও (কেএমএসএস) ভারতজুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু করে।
সংবাদ মাধ্যমকে কেএমএসএস’র উপদেষ্টা ও তথ্য অধিকার (আরটিআই) কর্মী অখিল গগৈ বলেছেন, ‘কেন্দ্র যদিও বলছে অভিবাসীদের ভারতে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে, তাদের অধিকাংশই শেষ পর্যন্ত আসামে বসবাস করবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে বাংলাদেশ হতে যে অভিবাসীরা আসামে গিয়েছিলেন, তাদের ইতিমধ্যে বসবাসের বৈধতা প্রদান করা হয়েছে। আসাম আর কোনো অভিবাসী নিতে পারবে না। আসামের হিন্দু বাঙালি ভোটারদের শান্ত করার পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছিল এই সিদ্ধান্তটিকে।’