দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হজ ও তার পরবর্তী সময়ে সৌদির আরবে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর মিনা এখন যেনো এক অন্য শহর! ক’দিন আগেও যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের পদভারে নুব্জ ছিল, এখন যেনো এক অন্য শহর!
মিনায় লাখ লাখ মানুষের পদভারে মুখর ছিল মাত্র কয়েকদিন আগে। দূর-দূরান্ত হতে সারা বিশ্বের প্রায় ২০ লাখ মুসলমানের পা অন্তত একটিবারের মতো এই এলাকা স্পর্শ করতে এসেছিল। এক পুণ্যভূমি এটি। মহা নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) একসময় এই মাটির ওপরেই হেঁটেছেন। সেই মিনা প্রতিবছর এই সময় পদভারে, কোলাহলে ভরে ওঠে। কিন্তু সেটি মাত্র ক’দিনের জন্য।
হজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার নীরব-নিস্তব্ধ এক শহরে পরিণত হয়েছে। মিনা এলাকার এক লাখ ৬০ হাজার তাঁবু খুলে ফেলা শুরু হয়েছে। হজের সময় এইসব তাঁবুতেই ছিল ২০ লাখ হাজির বসবাস। লাখ লাখ মানুষের পদভারে প্রকম্পিত ব্যস্তনগরী মিনা এখন শূন্য হয়ে নীরব-নিস্তব্ধ শহরে পরিণত হয়েছে।
এবার হজ পালনের সময় এই মিনাতেই দলিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় বহু হাজির মৃত্যু ঘটেছে। ১৩ হাজারেরও বেশি কর্মী পবিত্র এই শহরটি পরিষ্কারের কাজ করছেন এখন।
গত শনিবার ৬৬টি ফ্লাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের অন্তত ২০ হাজার হাজিকে নিজেদের দেশে পৌঁছে দেওয়া হয়। গত রবিবার ১৪৪টি ফ্লাইটে সৌদি আরব ত্যাগ করেন অন্তত ৫০ হাজার হাজি।
এভাবেই আস্তে আস্তে এক সময় সবাই প্রস্থান করছেন সৌদির এই পবিত্র মাটি হতে। মহান সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমান্তিত মাটি সৌদি আরব গমন করা সকল হাজি নিয়ে যাবেন রাব্বুল আলামিনের রহমত। তিনি যাকে খুশি তাকে হেদায়েত দান করবেন। আর সেই হেদায়েতের আশায় সবাই একত্রিত হয়েছিলেন এই পূণ্য ভূমিতে। তবে ক্রেন দুর্ঘটনা ও মিনায় দলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নাড়া দিয়েছে বিশ্ববাসীকে। তবে এক সময় এসব ঘটনা সবাই ভুলে যাবেন। আবার বছর গড়িয়ে আসবে নতুন করে হজের দামামা। সবাই তখন রহমতের আশায় আবার মুখরিত করবে এই মিনার মাটিকে। এটি পৃথিবীর এক নিয়মে পরিণত হয়েছে। যা চলবে কিয়ামত পর্যন্ত।