দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যেহেতু ইসলামী স্টেট তাই এটি মুসলমানরা পরিচালনা করবেন সেটিই স্বাভাবিক নিয়ম। এতোদিন তাই হয়ে আসছিল। তবে এবার আইএস পরিচালিত হচ্ছে হিন্দু দ্বারা!
বিবিসির খবরের উদ্বৃত করে সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে বলা হয়েছে, ইসলামিক স্টেটের সাম্প্রতিক প্রোপাগান্ডা ভিডিওগুলোতে দেখানো প্রধান ব্যক্তির নাম হলো সিদ্ধার্থ ধর। যিনি একজন ব্রিটিশ নাগরিক বলে বিবিসিও জানতে পেরেছে।
অতি সম্প্রতি ব্রিটেনের পক্ষে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে পাঁচ ব্যক্তিকে হত্যা করে আইএস। সেই ভিডিওতে সিদ্ধার্থ ধরকে দেখা যায়।
যদিও এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি। তবে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সূত্র বিবিসিকে বলেছে যে, ওই ব্যক্তি সিদ্ধার্থ ধর বলেই তারা ধারণা করছেন।
খবরে বলা হয় যে, যুক্তরাজ্যের একটি হিন্দু পরিবারে জন্ম নেওয়া সিদ্ধার্থ ধর পরে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। সিরিয়ায় যাবার পূর্বে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন মসজিদের সামনে উগ্রভাবে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, পূর্বে আইএসের প্রোপাগান্ডা ভিডিওতে ‘জিহাদি জন’ নামের একজনকে মাঝে-মধ্যেই দেখা যেতো, যার প্রকৃত নাম মোহাম্মদ এমওয়াজি। তিনিও ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। বিমান হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র।
এই সিদ্ধার্থ ধর পূর্ব লন্ডনে বসবাস করতেন। পূর্বে হিন্দু ধর্মাবলম্বী থাকলেও পরে তিনি ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন ও পরে উগ্রপন্থী গোষ্ঠি আল মুহাজিরুনে যোগ দেন। খবরে বলা হয়, তার এখনকার নাম আবু রুমায়শা। সাবেক ব্যবসায়ী ও চার সন্তানের জনক সিদ্ধার্থ ধরকে সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অভিযোগে ২০১৪ সালে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সিদ্ধার্থ ধর সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, তার বোন কণিকা ধর বিবিসিকে বলেছেন, প্রথমবার শুনে তার মনে হয়েছিল, এটা তারই ভাইয়েরই কণ্ঠস্বর। তিনি তখন খুব মর্মাহত হন। যদিও তিনি এখন পর্যন্ত পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত নন যে, এটিই তার ভাই কি-না।