দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের মতোই নাতি ব্যাকটেরিয়াও দেখতে পায়! সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়, নিজ শরীরকে ক্ষুদ্র লেন্স-এর মতো ব্যবহার করে এই দেখার কাজ করে থাকে ব্যাকটেরিয়া!
গবেষকদের এমন একটি দাবি মানব সভ্যতাকে আবারও বিস্মিত করেছে। গবেষকরা বলেছেন যে, মানুষের মতো ব্যাকটেরিয়াও দেখতে সক্ষম। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গবেষকরা বলেছেন, নিজ শরীরকে ক্ষুদ্র লেন্স-এর মতো ব্যবহার করে এই দেখার কাজ করে থাকে ব্যাকটেরিয়া।
সংবাদমাধ্যম স্কাইনিউজে প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়, এই প্রক্রিয়ায় প্রতিটি কোষ ‘মাইক্রোস্কপিক আইবল’ কিংবা ‘ফাইবার অপটিক ফিলামেন্ট’ হিসেবে কাজ করে ব্যাকটেরিয়াকে দেখার সুযোগ করে দেয়- এমনটিই জানিয়েছেন গবেষকরা। শুধু তাই নয়, এই গবেষণার ফলাফল হতে ৩০০ বছর ধরে চলে আসা এক প্রশ্নের উত্তর জানা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এক দিন দুইদিন নয় শতবছর যাবত চলে আসা সেই প্রশ্নটি, যেসব কীটপতঙ্গ সূর্যালোকের উপর নির্ভর করে, সেগুলো সূর্যের আলো আসলে কীভাবে চিহ্নিত করে? এর উত্তর হিসেবে এতোদিন পরে যা জানা গেছে, তা হলো- কীটপতঙ্গরাও ব্যাকটেরিয়ার মতোই নিজ দেহের প্রতিটি কোষকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লেন্স-এ রূপান্তরিত করতে পারে এবং বিশেষ কোন স্থানে আলো পড়ছে কিনা, তা নির্ণয় করতে পারে।
কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের অধ্যাপক ও ওই গবেষণাদলের প্রধান কর্নার্ড মুলিনিয়ক্স গবেষণার সাম্প্রতিক এই সাফল্য প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘গবেষণার এই বিষয়টি সম্পূর্ণ রোমাঞ্চকর যে ব্যাকটেরিয়াও ঠিক আমাদের মতোই নিজ জগত দেখতে পারে।’
গবেষকরা কাইনোব্যাক্টেরিয়ার একটি প্রজাতি ‘সাইনেকোসিস্ট’ পরীক্ষা করেও দেখেছেন। গবেষকরা বলেছেন, ‘সাইনেকোসিস্ট’-এর এক একটি কোষ মানুষের চোখ থেকেও প্রায় অর্ধশত কোটি ক্ষুদ্রাকৃতির!