দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কথায় বলা হয় ‘অর্থই হচ্ছে সকল অনর্থের মূল’। কথাটি একেবারে মিথ্যে নয়। অর্থের জন্য পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা ঘটনা। এবার জানা গেলো অর্থের জন্য জাপানী স্কুল ছাত্রীরা নাকি প্রেম করছে!
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এক সংবাদে জানা গেছে, জাপানের ১৩ শতাংশ স্কুলছাত্রী নাকি অর্থের বিনিময়ে প্রেম করে থাকে। অবাক করা এই তথ্যটি দিয়েছে জাতিসংঘের শিশু অধিকার বিষয়ক সংগঠনের বিশেষ দূত মাওদ দে বোয়ের-বুকিউচিও।
এই তথ্যটি জানিয়ে শিশু নির্যাতন বিশেষ করে জাপানের বিনোদন ক্যাফেগুলোতে কর্মরত কিশোরীদের ‘শোষণ’ বন্ধে জাপান সরকারকে আরও কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা।
এক তথ্যে বলা হয়, জাপানে ২০১৪ সাল হতে বিনোদন ক্যাফেগুলোতে ‘কিশোরী নির্যাতনের’ হার বেড়ে যাওয়ায় মাওদ দে বোয়ে এই কথা বলেছেন বলেছেন আল-জাজিরাকে। শিশুদের পতিতাবৃত্তি এবং পর্ণগ্রাফিতে অংশগ্রহণ বেড়ে যাওয়ার বর্ণনা করে মাওদ দে বলেছেন, দেশটির অন্তত ১৩ শতাংশ স্কুলছাত্রী ‘এনজো কোসাই’ কিংবা টাকার বিনিময়ে প্রেমে অংশ নিচ্ছে।
অবশ্য মাওদ দে আরও জানান, অর্থের বিনিময়ে কিশোরীদের প্রেমে অংশ নেওয়ার এই পরিসংখ্যানটি সরকারি নয় বা চূড়ান্ত কোনো প্রতিবেদনও নয়। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে সরকারি কোনো পরিসংখ্যান না থাকাটা জাপান কর্তৃপক্ষের উদসীনতারই পরিচয় বহন করে।’
অপরদিকে ‘শিশু নির্যাতনে’ জাতিসংঘের এই তথ্য প্রকাশের পর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে জাপান সরকার। এক বিবৃতিতে দেশটির শিশু অধিকার বিষয়ক সেলের এক কর্মকর্তা বলেছেন, জাপানে শিশু অধিকার রক্ষায় দেশটির সরকার সবসময়ই অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। তিনি বলেন, ‘এনজো কোসাই’-এমন অভিযোগ সত্য নয়।