দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউটিউব মানেই ভাইরাল ভিডিও, লাইভ গেমিং কিংবা মিলিয়নিয়ার ওয়েব। অথচ এক সময় ইউটিউব ছিল একটি ডেটিং সাইট। ইউটিউবের প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল ব্যবহারকারীদের ভালোবাসার সন্ধান দেওয়া।
সহ প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ চেন জানান, একটি ডেটিং সাইট হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল ইউটিউব। অথচ এখন ইউটিউব মানেই ভাইরাল ভিডিও, লাইভ গেমিং কিংবা মিলিয়নিয়ার ওয়েব।
স্টিভ চেন আজকের বহু জনপ্রিয় ইউটিউবের সৃষ্টি মূল ধারণার কথা তুলে ধরে বলেছেন, ‘আমরা সব সময় ভেবেছিলাম ভিডিও দিয়ে কিছু একটা করার। তবে আসল অ্যাপ্লিকেশনটা কি হতে পারে? শেষ পর্যন্ত ডেটিং সাইট হিসাবেই ইউটিউবের কথা চিন্তা করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘একজন মানুষ তার ভিডিওর মাধ্যমে নিজের পরিচয় তুলে ধরবে ইউটিউবে। তিনি কেমন সঙ্গী-সঙ্গিনী চান কিংবা পছন্দের বৃত্তান্ত দেবেন। এমন ধারণা হতেই ইউটিউবের জন্ম হয়।’
স্টিভ চেন বলেন, ‘আর তাই এই সাইটের ডোমেন রেজিস্ট্রেসন হয় এক ভ্যালেন্টাইন ড্থেতে! তিন সহ প্রতিষ্ঠাতা মিলে ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখে ইউটিউব চালু করা হয়। তখন নিজেদের সাইটে তারা মাত্র ৩ জনই ছিলেন। কাজেই তেমন কিছুই করার ছিল না তাদের। চালুর পরবর্তী ৫ দিনের মধ্যে একটি ভিডিও কেও আপলোড করলো না। হতাশ হয়ে তারা ঠিক করলেন যে, ডেটিংয়ের বিষয়টি ভুলে যেতে হবে। এটিকে যেকোনো ধরনের ভিডিও আপলোডের জন্যে পরিচয় ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। সেই সিদ্ধান্তটা যে পুরোপুরি সঠিক ছিল, তা এখন গ্যারান্টি দিয়েই বলা যায়।’
জানা যায়, ২০০৬ সালে ইউটিউবকে গুগল কিনে নেয় ১.৬ বিলিয়ন ডলারে। প্রতিমাসে অন্ততপক্ষে ১ বিলিয়ন ভিজিটর এখানে ভিডিও দেখেন। সম্প্রতি বিজ্ঞাপনবিহীন সাবস্ক্রিপশন মডেলও বানানো হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইউটিউব রেড’। এটিতে সব অরিজিনাল ভিডিও দেওয়া হবে।
সম্প্রতি স্টিভ চেন ও সাবেক ইউটিউব অ্যালাম ভিজে করুণামূর্তি তাদের নতুন ভিডিও স্টার্টআপ ‘নম’ এর প্রচার শুরু করেছেন। একটি লাইভ-স্ট্রিমিং অ্যাপও চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সেলিব্রিটি ও রেস্টুরেন্ট সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয় আপলোড করতে পারবেন এর গ্রাহকরা। তাই এক কথায় তিল থেকে শুরু হওয়া ইউটিউব এখন বিশ্বের কোটি কোটি দর্শকদের কাছে এক জনপ্রিয় মাধ্যম।