দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ফেসবুকে নাকি আর কেউ কিছু শেয়ার করছেন না! গত এক বছরে ফেসবুকে শেয়ার করার প্রবণতা কমেছে ৫ শতাংশ।
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া পুরনো বন্ধুকে খুঁজে পেতে কিংবা নতুন বন্ধু বানাতে ফেসবুকের জুড়ি নেই। নতুন ড্রেস কেনা হতে শুরু করে মনের মানুষের সঙ্গে ডিনার ডেটও হয়ে থাকে এই ফেসবুকের মাধ্যমে।
বন্ধুদের ফেসবুক নানা ধরনের ছবি পোস্ট করার প্রবণতাও রয়েছে ব্যাপক। আর ছবি পোস্ট করার পরের মুহূর্ত থেকেই লাইক, কমেন্টের বন্যা বইয়ে যায়। বিয়ের পিঁড়িতেও ঝপাঝপ উঠে পড়া সেলফি কিংবা ঘুরতে গিয়ে অসাধারণ সব ফটোগ্রাফি তৎক্ষণাত ফেসবুকে শেয়ার হয়ে যায়।
ফেসবুকে ছবি, ভিডিও পোস্টের পাশাপাশি ভিডিও চ্যাটেও জনপ্রিয়তা কম নয়। বাজার ধরে রাখতে এবার ফেসবুক নিয়ে এসেছে লাইভ ভিডিও অপশন। তবে তাও ফেসবুকের কর্ণধার জুকারবার্গের কপালে নাকি চিন্তার ভাঁজ। এর কারণ হলো ফেসবুকে নাকি আজকাল শেয়ার কমে গেছে।
গত এক বছরে ৫ শতাংশ ফেসবুকে শেয়ার করার প্রবণতা কমেছে। এনগেজমেন্ট মুহূর্ত, বাচ্চার দুষ্টুমি, খেলা, নিরালায় কাটানো ছুটির মুহূর্তের মতো ব্যক্তিগত শেয়ার নাকি কমেছে ২১ শতাংশ। আর সে কারণেই বিপদের গন্ধ পাচ্ছেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা জুকারবার্গ।
ফেসবুকের গ্রাহকরা যাতে আবারও তাদের ব্যক্তিগত হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, মজা-খুনসুটির মুহূর্তগুলি ফেসবুকে শেয়ার করেন, ফেসবুকের টার্গেট এখন সেটিই। ফেসবুকের কর্ণধার জুকারবার্গ নিজ সংস্থার কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছেন, কী করে শেয়ারিং আরও বাড়ানো যায় তা নিয়ে অভিনব উপায় বের করার জন্য। প্রাথমিক রিপোর্ট বলেছে, ব্যক্তিগত কথার শেয়ারিং কমার পিছনে মূল ইস্যুই হলো প্রাইভেসি। বিষয়গুলোর দিকে কর্তৃপক্ষ নজর দিচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।