দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একজন পিতার কাছে কন্যাদায় হতে নিষ্কৃতি পাওয়া বড় একটি বিষয়। বিশেষ করে যাদের তেমন সামর্থ থাকে না তাদের ক্ষেত্রে। তাদের কথা চিন্তা করে প্রতিবছর ১০০ কন্যার বিনামূল্যে বিয়ে দেন এক ব্যবসায়ী!
সন্তানদের বিয়ে দেওয়া মানেই এক বিশাল খরচের বিষয়। যাদের সামর্থ নাই তাদের জন্য সেটি আরও কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়ায়। এইসব কন্যাদায়গ্রস্থ পিতাদের কথা চিন্তা করে এক ব্যবসায়ী প্রতিবছর ১০০ কন্যার বিয়ের খরচ দেন।
ভারতের সুরাতের ওই সুনামধন্য ব্যবসায়ীর নাম গোপাল ভাস্তাপারা। তিনি গত ফেব্রুয়ারি মাসে নিজের ছেলের বিবাহ সম্পন্ন করেন। তিনি খুব সাধারণভাবে নিজের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান করেছেন। মাত্র ৩০০ অতিথির উপস্থিতিতে এই বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে, এদের মধ্যে বেশিরভাগই আত্মীয়স্বজন ছিলেন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ৫১ বছর বয়সী এই ডেভেলপার ব্যবসায়ী নিজ ছেলের বিয়ের কাজ শেষ হবার পর আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সমাজের ১০০ জন গরীব, অবহেলিত, নির্যাতিত এবং নিপীড়িত মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার দায়িত্বে।
এ মাসের (এপ্রিল) ২৮ তারিখে তার গ্রামের মেয়েদের একসঙ্গে বিয়ে করাবেন তিনি। তার পাশের গ্রাম চামারদিতে এই বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করবেন। তিনি আমরেলি এবং রাজকোটে সেসব মেয়েদের খুঁজে বের করেন। যেসব পরিবার টাকার অভাবে মেয়ের বিয়ে করাতে পারছিলেন না।
ব্যবসায়ীর গোপাল ভাস্তাপারা বলেন, ‘আমরা আমাদের ছেলের বিয়ে খুব সাধারণভাবে এজন্য করিয়েছি যেনো সেই টাকা দিয়ে গ্রামের দরিদ্র ১০০ জন মেয়েকে বিয়ে দিতে পারি। এসকল মেয়েদের মাঝে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীও রয়েছে। ৬ জন মুসলমান কন্যাও রয়েছেন এই ১০০ জনের তালিকার মধ্যে।’
এই ব্যবসায়ী আগামী ১০ বছর এভাবেই ১০০ জন মেয়ের বিয়ে দিবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।