দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নেত্রাবতীর সঙ্গে গত বছর থেকে সম্পর্ক শুরু হয় গুরুস্বামী নামে এক ব্যক্তির। একটা দুর্ঘটনায় নিমেষেই ভেঙ্গে যায় তাদের স্বপ্ন। তাই অ্যাম্বুল্যান্সে হলো তাদের বিয়ে!
ভারতের বেঙ্গালুূরু হতে ২০০ কিলোমিটার দূরে চিত্রদুর্গা জেলায় উইন্ডমিল প্রজেক্টে কাজ করেন গুরুস্বামী। অপরদিকে নার্সিংয়ের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী নেত্রাবতীও একই অঞ্চলের বাসিন্দা। গত ২৬ মে চিত্রদুর্গাতে এক গণবিয়ের আয়োজন করা হয়। ঠিক হয়, সেখানেই বিয়ে করবে দুজন। তবে একটা দুর্ঘটনার কারণে নিমেষেই ভাঙলো সব স্বপ্ন।
গুরুস্বামী ও নেত্রাবতী ২৩ মে ঘুরতে গিয়েছিলেন। বেঙ্গালুরের ঐতিহাসিক চিত্রদুর্গা দুর্গে গিয়েছিলেন তারা। আচমকা ফোর্টের ভিতর পড়ে যান নেত্রাবতী। গুরুতর চোট পান তিনি। শিরদাঁড়া ও কোমর ভেঙে যায় তার। শেষ পর্যন্ত ভর্তি করা হয় এক বেসরকারি হাসপাতালে।
এরকম দুর্ঘটনার পর গুরুস্বামী কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। বিয়ের আগে এভাবে বাধা! তবে পরিবার ও বন্ধুদের পাশে পেয়ে মনোবল ফিরে পান তিনি। তিনি ঠিক করেন, নির্ধারিত দিনেই তিনি নেত্রাবতীকে বিয়ে করবেন। গুরুস্বামী রাজি হওয়ায়, না করেননি পাত্রীও। ২০০ কিলোমিটার অ্যাম্বুল্যান্স যাত্রা করে চিত্রদুর্গার গণবিয়ের মঞ্চে পৌঁছান।
বিয়ের দিন গণবিয়ের মঞ্চের কাছে পৌঁছালেও অ্যাম্বুল্যান্স হতে নামতে পারেননি নেত্রাবতী। স্ট্রেচার হতে সামান্য সময়ের জন্য উঠতেও পারেননি। ঠিক করা হয়, অ্যাম্বুল্যান্সেই বিয়ে হবে তাদের। অবশেষে ঠিক তাই হলো। অ্যাম্বুলেন্সেই বিয়ে হলো তাদের। অনুষ্ঠান শেষে আবার অ্যাম্বুল্যান্সেই হাসপাতালে ফিরে গেছেন নবদম্পতি!