দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এখনও এমন নিয়ম রয়েছে যে কন্যা সন্তান হলে একজন নারীকে অনেক লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়। তবে এবার এমন এক হাসপাতাল পাওয়া গেছে যেখানে কন্যা সন্তান জন্ম হলে খরচ লাগে না!
কন্যা সন্তান জন্ম হলে অভ্যর্থনাতো জোটেই না। উল্টো বরাদ্দ থাকে লাঞ্ছনা। কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠকারী মা-ও যেমন রেহাই পান না, ঠিক তেমনই রেহাই মেলে না শিশু কন্যা সন্তানটিরও। তবে এ চিত্রটাই যেনো এবার বদলাতে চাইছে ভারতের গুজরাতের এক হাসপাতাল। এবার সেখানে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে হাসপাতালের খরচ বাবদ কোনো টাকা নেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে!
মূলত কন্যা সন্তানের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতেই আহমেদাবাদের সিন্ধু হাসপাতালে এমন একটি ব্যতিক্রমি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহাদেব লোহানা বলেছেন, ‘বছরের পর বছর ধরে দেখেছি গর্ভবতী রমণীরা যারা এখানে আসেন তারা পুত্রসন্তান কামনা করে থাকেন। এমনকী পরিবারের প্রত্যাশাও থাকে তেমনই। পুত্রসন্তান হলে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে পুরো পরিবার। তবে কন্যাসন্তান হলে দেখা যায় তার উল্টোটা। ছেলে হলে মিষ্টি বিতরণ করা হয়, আর মেয়ে হলে তা কখনও হয় না। তবে এবার এই চিত্রটা যেনো কন্যাসন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রেও দেখা যায় তাই আমাদের এমন উদ্যোগ।’
হাসপাতালের খরচ নেওয়া হবে না শুধু তাই নয়, পুত্র সন্তান হলে যেভাবে আনন্দ করা হয়, মিষ্টি বিতরণ করা হয়ে থাকে, মেয়ে সন্তান হলেও ঠিক তাই হবে এবং সেটি করবে হাসপাতাল নিজ উদ্যোগেই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রায় ১৫০ গর্ভবতী রমণী। তাদের মধ্যে যাদের কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে তারা সবাই এই সুযোগটি পাবেন। হাসপাতালের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় অধিবাসীরা।
অনেক পরিবারে কন্যাসন্তানের আগমন মানেই যেনো এক বিভীষিকা। আবার কোনো কোনো পরিবারে নাকি গত তিন দশকে কোনো কন্যা সন্তান জন্ম নেয়নি বলেও শোনা যাচ্ছে। মানুষের আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে হাসপাতালের এই কর্মসূচিটি!