দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি এ টি এম বুথে টাকা পাওয়া যায়। তবে ভারতে এবার চালু হয়েছে মাতৃদুগ্ধের ‘এ টি এম’!
এই বিশেষ এ টি এমের পুরো নাম ‘আমুধম থাইপ্পল মাইয়াম’। তামিল ভাষার ওই শব্দটির অর্থ হলো ‘মাতৃদুগ্ধের কেন্দ্র’।
বিবিসি বলেছে, সম্প্রতি ভারতের একটি হাসপাতালে মাতৃদুগ্ধের এমন এক ব্যতিক্রমি ‘এ টি এম’ চালু হয়েছে। সুস্থ দাতা মায়েদের কাছ থেকে যোগাড় করা দুধ এই এ টি এম বুথের মাধ্যমে বিলি করা হচ্ছে।
পুদুচেরির প্রখ্যাত ‘জিপমার’ হাসপাতালে কম ওজন কিংবা অপুষ্ট যেসব শিশু জন্ম নিয়ে থাকে, তাদের অতি প্রয়োজনীয় মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকরা।
‘জিপমার’ হাসপাতাল এর অধিকর্তা সুভাষ চন্দ্র পারিজা বলেছেন, ‘প্রতিমাসে প্রায় ১৫০০ শিশু জন্ম হয় এই হাসপাতালে। এদের মধ্যে প্রায় ৩০% ই কম ওজন নিয়ে জন্মে থাকে। অনেকক্ষেত্রেই মায়েদের শারীরিক সমস্যার কারণে ওই অসুস্থ নবজাতকদের মাতৃদুগ্ধ পান করানো সম্ভব হয় না। অথচ মাতৃদুগ্ধ ওই নবজাতকদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’
‘জিপমার’এর এই এ টি এম-এ যে কোনো মা-ই স্বেচ্ছায় বাড়তি দুগ্ধ দান করতে পারেন। তবে দাতা মায়ের এইডস, হেপাটাইটিস প্রভৃতি মারণ রোগ রয়েছে কী না, সেটি ভালো করে যাচাই করে নেওয়া হয়। সংগৃহীত মাতৃদুগ্ধ প্যাসচুরাইজ করে রেখে দেওয়া হচ্ছে।
তবে কোলকাতার শিশুরোগ ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ সুমিতা সাহা বলেছেন, ‘মাতৃদুগ্ধ প্যাসচুরাইজ করার কোনো প্রয়োজন হয় না। পরিষ্কার বোতলে সাধারণ তাপমাত্রায় ৪ হতে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত রাখা যায়। তবে ফ্রিজে রাখলে সেটা ২৪ ঘন্টা হতে ৪ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা সম্ভব। তবে কী ধরণের ফ্রিজে রাখছেন, তার ওপর নির্ভর করবে কতোদিন তাজা থাকবে দুধ। তবে একবার ফ্রিজ থেকে বের করে নিলে সেটি কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যবহার করে ফেলতে হবে।’
উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশে কর্মরত মায়েদের জন্য মাতৃদুগ্ধ ব্যাঙ্ক চালু রয়েছে।