দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তেলাপোকা দেখলে আমরা চমকে উঠি। বাঘ-ভাল্লুকের থেকেও যেনো ভয় পায় আমরা। কিন্তু এবার শোনা গেলো গরুর দুধের থেকেও তেলাপোকার দুধেই বেশি পুষ্টিকর!
কিছু জিনিসের কথা মনে হলেই আমাদের মধ্যে অস্বস্তি হয়, তার মধ্যে একটি হলো তেলাপোকা। খাবার হিসেবে তেলাপোকা কি চলে? তেলাপোকাকে নিশ্চয়ই খাবার হিসেবে কেও এটিকে ভাততে পারবেন না? কিন্তু বাস্তবতা হলো ভবিষ্যতের সেরা খাবারের তালিকায় চলে আসবে তেলাপোকার দুধ!
একবার চিন্তা করে দেখুন, দামি দামি রেস্তোরাঁতে সুস্বাদু খাবারের রেসিপিতে থাকবে এই তেলাপোকার দুধ হতে বিশেষ উপকরণ সমৃদ্ধ খাবার।
ভারতের একদল গবেষকরা বলেছেন, তেলাপোকার দুধ নাকি গরুর দুধের চেয়ে অন্তত ৪ গুণ পুষ্টিসমৃদ্ধ। এই দুধে বিশেষ এক ধরনের প্রোটিনও রয়েছে।
প্যাসিফিক বিটল নামের একটি বিশেষ প্রজাতির তেলাপোকাতে কেবলমাত্র এই দুধ উৎপন্ন করে থাকে। বাচ্চা তেলাপোকা জন্ম দেওয়ার আগেই তারা ভ্রূণকে পুষ্টি দেওয়ার জন্য এই বিশেষ প্রোটিন সমৃদ্ধ স্ফটিক নিঃসরণ করে থাকে বলে গবেষকরা দেখতে পেরেছেন।
গবেষণার লেখক সঞ্চারি ব্যানার্জি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এ বিষয়ে বলেছেন, ‘এই স্ফটিক প্রকৃতপক্ষে পুরোদস্তুর খাবার। কারণ হলো এতে রয়েছে প্রোটিন, ফ্যাট ও সুগার। ওই প্রোটিনের ডিএনএ সিকুয়েন্সে দেখা গেছে যে, এতে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিডও রয়েছে।’
এ বিষয়ে গবেষণার আরেক বিজ্ঞানী রামাশামি বলেছেন, ‘এই প্রোটিনের বিশেষ উপকারিতা হচ্ছে এটি দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি দেবে!’
বিজ্ঞানীদের যে দলটি এই আবিস্কার করেছেন, তারা সবাই ইন্সটিটিউট অব স্টেম সেল বায়োলজি অ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিনে কাজ করে থাকেন। তারা বিশ্বাস করেন, এই দুধ ভবিষ্যতে প্রোটিনের সম্পূরক হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
যে কারণে বিজ্ঞানীরা তেলাপোকার ওই ‘ক্রিস্টাল দুধ’ গবেষণাগারে তৈরির প্রচেষ্টায় রয়েছে তারা। এই গবেষণার ফলাফল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব ক্রিস্টালোগ্রাফি জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।