দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি দুই মিশরীয় শিশুর বাল্যবিবাহ নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়! মিশরের কাইরো হতে ৭৫ মাইল উত্তরের এলাকায় এই বিয়ের ঘোষণায় আগত অতিথিরা যেনো অবাক!
ঘটনাটি অনেকটা এমন। বড় ছেলের বিয়ে চলছিলো, অতিথিরা যার যার মতো মজাও করছিলো ওই আয়োজনে। অনেক গায়ক ও বেলি ডান্সাররাও এসেছিলো অনুষ্ঠানে। ছেলের বাবা নাসির হোসেন চিন্তা করলেন, আগত অতিথিদের আনন্দ আরও দ্বিগুণ করা যায় কিভাবে।
তাই ছোট ছেলে ওমরের বিয়ের ঘোষণাটাও দিয়ে দিলেন এই বড় ছেলের বিয়ের এমন একটি সুন্দরতম মুহূর্তে। ওমরেরই আত্মীয় গ্রাহামের সঙ্গে তার বিয়ে হবে। তাতেই শুরু হয়ে যায় তোলপাড়।
মিশরের কাইরোর ওই বিয়ের ঘোষণায় আগত অতিথিরাতো একেবারে অবাক! ভুল কিছুও দেখছেন না তারা। কারণ হলো তাদের মতো, এটা তো শুধুই এনগেজমেন্ট, বিয়ে তো আর নয়।
তবে সমস্যাটা দাঁড়িয়েছে বর কনের বয়স নিয়ে। ওমরের বয়স মাত্র ১২ বছর অপরদিকে গ্রাহামের বয়স ১১। মিশরের আইন অনুযায়ী ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করা একটি অপরাধ। তারপরও ইউনিসেফ জানাচ্ছে, ১৭ শতাংশ মিশরীয় মেয়ের বয়স ১৮ হওয়ার পূর্বেই বিয়ে হয়ে যায়।
শিশু এবং নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠকরা এই ঘটনায় রেগেছেন বেজায়। সারাদেশের খবরের কাগজে হবু বর-বৌয়ের ছবিটি প্রকাশিত হতেই আরও বেশি ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। যা এক সময় বিশ্বজুড়ে সংবাদ মাধ্যমের খবরে পরিণত হয়েছে।
মিশরে এমন বাল্যবিবাহের ঘটনা এটিই প্রথম নয়, গতবছর জুনেও ১০ বছরের এক কন্যার বিয়ে হয় ১২ বছরের বরের সঙ্গে। সেখানকার ন্যাশনাল সেন্টার ফর মাদারহুড অ্যান্ড চাইল্ডহুড এই ধরনের বিয়েকে ‘শিশুকালটির হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করেছে।