দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৫ মে রাতে শাপলা চত্ত্বর অভিযানে নিজেদের ৩ হাজার নেতা-কর্মী নিখোঁজ হয়েছে বলে দাবি করেছিল হেফাজতে ইসলাম। কিন্তু তার প্রমাণ এখনও পর্যন্ত তারা দিতে পারেনি। তবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিখোঁজদের হদিস করতে।
প্রথমে বিএনপি বলেছিল আড়াই হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। পরে হেফাজতে ইসলাম বলেছিল তাদের ৩ হাজার নেতা-কর্মী ওই রাতে মারা গেছে। আরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় অনুসন্ধান চালিয়ে এসব নিখোঁজের তালিকা করা হবে। কিন্তু শতচেষ্টা করেও সেই তালিকা প্রকাশ করতে না পারায় তাদের দাবির যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে নিখোঁজদের তালিকা করতে গত ১১ মে সারা দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কমিটির নেতারা মাঠে নেমে পড়েন। মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় গিয়ে খোঁজখবর করা হচ্ছে। নিহত, আহত ও নিখোঁজ-এ তিনটি তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার ১৭ মে বিকেল পর্যন্ত সাত দিনে নিখোঁজ তালিকায় তাঁরা কতজনের নাম তুলতে পেরেছেন, তা জানার চেষ্টা করা হয়। যোগাযোগ করা হয় হেফাজতের কেন্দ্রীয় এবং তৃণমূলের বেশ কয়েকটি কমিটির নেতাদের সঙ্গে। তাঁরা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিখোঁজ আছে এমন একজনেরও সন্ধান পাননি তাঁরা গত ৭ দিনে। সন্ধান পেলেই সেই তথ্য তাঁরা গণমাধ্যম জানিয়ে দেবেন।
সূত্র জানায়, তালিকা তৈরি করতে গিয়ে হেফাজত নেতারা জানতে পারছেন, শাপলা চত্বরে অভিযানের মুখে মাদ্রাসার বহু ছাত্র ছত্রভঙ্গ হয়ে দিগ্বিদিক পালিয়ে যায়। এরপর নিজেদের উদ্যোগেই তারা নিরাপদ অবস্থান খুঁজে নিতে থাকে। কেও কেও নিজেদের বাড়ি বা আত্মীয়-স্বজনের কাছে গিয়ে আশ্রয় নেয়। প্রথমদিকে ওই ছাত্রদের মাদ্রাসায় না পেয়ে তাদেরকেই নিখোঁজ বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। পরে তাদের সবাই নিজ নিজ মাদ্রাসায় ফিরেছে। বিভিন্ন স্থানে তালিকা করতে গিয়ে এমন তথ্য পেয়ে হেফাজত নেতারা এখন বেশ অস্বস্তিতেই পড়েছেন। হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আশরাফ আলী নিজামপুরী গতকাল শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে দুই-তিনজন করে নিখোঁজের নাম আসছে। তবে এর সঠিক সংখ্যা তিনি এখনো জানেন না। নিখোঁজের তথ্য পেলেই গণমাধ্যমকে জানানো হবে। দলের কার্যক্রম এখন কিছুটা ঝিমিয়ে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তথ্যসূত্র: দৈনিক কালের কণ্ঠ।