দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চলতি বছর (২০১৬) ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাওয়া অন্তত ৫ হাজার শরণাথী বা অভিবাসন প্রত্যাশী ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছেন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই সংখ্যা এখন পর্যন্ত যেকোনো বার্ষিক হিসেবে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা সাম্প্রতিক এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে।
গত বৃহস্পতিবার ইতালি উপকূলে রাবারের দুটি নৌকাডুবিতে মৃত্যুবরণকারী ১ শ’ জনকেও এই সংখ্যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান ও কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের কারণে শরণার্থী কিংবা অভিবাসন প্রত্যাশীদের ডুবে যাওয়ার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
জাতিসংঘ বলেছে, শরণার্থীরা যেনো নিরাপত্তা পেতে পারে, সে বিষয়ে একটি আইনি পথ খুঁজে বের করা উচিত ইউরোপের। এ বিষয়ে জাতিসংঘ মুখপাত্র উইলিয়াম স্পেনডেলা বলেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকা সত্যিই ‘ভয়ঙ্কর’। পাশাপাশি পাচারকারীরা একই সময় হাজার হাজার শরণার্থীকে পাঠানোর যে চর্চারত রয়েছে, সে কারণে উদ্ধারকারীদের পক্ষে সবাইকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
এ বছর মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার শরণার্থী কিংবা অভিবাসন প্রত্যাশী সমুদ্রপথে ইউরোপে প্রবেশ করে। এদের বেশিরভাগই ইতালি এবং গ্রিসে প্রবেশ করেছে বলে আন্তর্জাতিক শরণার্থী বিষয় সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুবরণকারীদের পরিসংখ্যান অনুসারে প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন শরণার্থী ডুবে মারা যাচ্ছে। গত বছর (২০১৫ সালে) ৩ হাজার ৮শ’ জন শরণার্থী কিংবা অভিবাসন প্রত্যাশী ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যায়।