দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ পায়খানার কমডের পয়নিষ্কাশন পাইপ থেকে পরিত্যক্ত শিশু উদ্ধার করেছে চীনের উদ্ধার কর্মীরা। উদ্ধারকৃত শিশুটির বয়স দুইদিন। শিশুর কান্না শুনে শিশুটিকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়।
এখন তার কোন নাম নেই, তাই আপাতত তাকে ডাকা হচ্ছে বেবি-৫৯ বলে। তার ওজন ৫ পাউন্ড। চীনের জেজিয়াং প্রদেশের জিনহুয়া শরের একটি আবাসিক বাসভবনের কমডের পাইপ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় তাঁর গর্ভফুল বা প্ল্যাসেন্টাও সংযুক্ত ছিল। উদ্ধারের বিরল দৃশ্যে দেখা যায় শিশুটি একটি L-আকৃতির ১০ সেন্টিমিটারের একটি বাথরুম পাইপে আটকে আছে। প্রায় ১ ঘণ্টা টানা চেষ্টার পর শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
এদিকে উদ্ধারের পরে শিশুটির অভিভাবক হিসেবে ২২ বছরের এক মহিলাকে খুঁজে পাওয়া গেছে। মহিলাটি জানান তিনি তার গর্ভাবস্থার বিষয়টি সবার থেকে গোপন করেছিলেন, এমনকি তার বাবা-মার কাছ থেকেও লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু পরবর্তীতে শিশুটির বাবাকে জানালে শিশুর বাবা তার পাশে দাঁড়াতে রাজি হয়নি। কলঙ্কের হাত থেকে বাঁচার জন্য মহিলাটির গর্ভপাত করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। কিন্তু তার কাছে গর্ভপাত করানোর মতো সামর্থ্য ছিলনা। তিনি যে গর্ভবতী এইটা যাতে কেউ না বোঝে, তাই তিনি সব সময় ঢিলে ঢালা জামাকাপড় পড়তেন। যাই হোক, শিশুর প্রসব বিষয়ে এই মহিলা জানান, তার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে তিনি বাথরুমে যান এবং কমডে বসেন। এই সময় তিনি কি করবেন না করবেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই শিশুটি কমডেই প্রসব হয়ে যায়। এসময় কিছু করার আগেই শিশুটি পয়নিষ্কাশন পাইপের ভেতর পড়ে যায়। তিনি একা শিশুটিকে উদ্ধার করতে না পারাতে ঘাবড়ে গিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন।
এদিকে প্রশাসন জানায় এই মহিলা অবশ্যই শিশুটির মাতৃত্ব দাবি করতে পারেননা, কেননা তিনি শিশুটির মা হিসেবে কোন দায়িত্ব ও মানবতা দেখাননি। শিশুটির অবস্থা এখন হাসপাতালের ইঙ্কিউবেটরে আশঙ্কা মুক্ত আছে বলে জানা যায়। তবে পুলিশ এই ঘটনাকে এটেম্পট টু মার্ডারের মামলা হিসেবে নিবে বলে জানান। সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে তারা তদন্ত চালাচ্ছেন। এই দেখুন সেই উদ্ধারের চাঞ্চল্যকর ভিডিও।
তথ্যসূত্রঃ দ্যা গার্ডিয়ান