লক্ষণ দেখে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করলে ধনী হওয়ার পথ সুগম হবে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ধনী বা গরীব হওয়ার বিষয়টি যদিও সৃষ্টির হাতেই। তবুও আমরা নানাভাবে পার্শ্বিক বিষয়ের উপর নির্ভর করি। এমনই কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখলে একজন মানুষের ভবিষ্যত কিছুটা হলেও বোঝা যায়। আজ জানুন এমন কয়েকটি বিষয়।

বর্তমান সময়ে বেকারত্বের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। আবার বেকার নেই, কিন্তু অস্বচ্ছলতা কিংবা ধনী হওয়ার জন্য আগ্রহ রয়েছে এমন মানুষের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। কিন্তু কিভাবে হবেন ধনী? আর কিভাবেই বা বুঝবেন আপনি ধনী হতে পারেন কিংবা কিভাবে আপনি বুঝবেন যে ধনী হওয়া আসলে আপনার পক্ষে প্রায় অসম্ভব ব্যাপার? আবার এমনও হতে পারে যদি আপনি সেইসব লক্ষণগুলো জানতে পারেন তাহলে তার উল্টো কাজগুলো করে ধনী হওয়ার পথ সুগম করতে পারেন। আজ রয়েছে এমনই কিছু লক্ষণসমূহ যে লক্ষণগুলো দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ধনী হওয়ার পথের অন্তরায় আসলে কি। মনে প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে কি আপনি কখনও ধনী হতে পারবেন না? কেনো নয়। ধর্মে বলা হয়েছে, হায়াত, মৌত, রিজিক, দৌলত সৃষ্টিকর্তার হাতে। তবে সৃষ্টিকর্তার হাতে থাকলেও তিনি কিন্তু কর্মের মাধ্যমে মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করে থাকেন। কেও যদি অলস না হন, অর্থাৎ কেও যদি খুব পরিশ্রম করেন তাহলে তার ভাগ্যের পরিবর্তন কেনো হবে না? অবশ্যই তার ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। কারণ হলো সবকিছু কর্মের ফলাফলের উপরেই নির্ভর করে।

কি কারণে আপনি ধনী হবেন না

# অর্থ উপার্জনের জন্য আপনার তেমন নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্যই নেই।

# নির্দিষ্ট সময় ও দিনের বিষয়ে ভিত্তি করে আপনি পারিশ্রমিক পেতে আগ্রহী। ধনী এবং সফল ব্যক্তিরা তাঁদের কাজের ফলাফলের ভিত্তিতেই কেবল পারিশ্রমিক চান।

# সবকিছুই আপনি আগে আগে খরচ করেন। এরপর যতটুকু অবশিষ্ট থাকে, সেটি আবার সঞ্চয় করেন।

# আপনি এখনও কোনো কিছুর ওপর বিনিয়োগ করেননি।

# আপনি বিশ্বাস করে হাত পা গুটিয়ে বসে আছেন যে, আপনার পক্ষে কখনই ধনী হওয়া সম্ভব নয়!

# সব সময় আপনি সঞ্চয়ের ওপর অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, অথচ আয়ের বিষয়ে গুরুত্বই দেন না।

# এমন কিছু জিনিসপত্র আপনি কিনে ফেলেন, যেগুলো চালানোর কিংবা রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষমতা আপনার একেবারেই নেই।

# কখনও আপনি নিজের জন্য নিরাপদ ও আরামদায়ক আঙিনার বাইরে যেতে চান না।

# আপনি অন্য কারো স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করে চলেছেন, কিন্তু নিজেরটা নয়!

তবে এইসব লক্ষণ দেখে আপনার ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। যদি আপনি সত্যিই এমন স্বভাবের হয়ে থাকেনও, তাহলে অবশ্যই আপনার স্বভাবটি পরিবর্তন করুন। উপরোক্ত বিষয়গুলোর বাইরে থাকার চেষ্টা করুন। আর সেইসঙ্গে আরও পরিশ্রমি হোন। বিচার-বুদ্ধি খাটিয়ে চলার চেষ্টা করুন। কারণ পরিশ্রম করলে ভাগ্যে বদলাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সেই পরিশ্রম হতে হবে গঠনমূলক। অকাজের পরিশ্রম করলে শুধু শরীরটাই নষ্ট হবে কাজের কাজ কিছু হবে না। তাই সব দিক বিবেচনায় এনে এগিয়ে যান শুধুই সামনের দিকে। দেখবেন আপনার ভাগ্যও পাল্টে যাচ্ছে!