দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে শিক্ষিত বেকার যুবকরা চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ান। তবে সেইসব বেকার যুবকরা এখন থেকে ইচ্ছে করলে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চাকরি করতে পারবেন!
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই মন্দার বাজারে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ কথা হয়তো আপনার বিশ্বাস করা কঠিন হবে। তবে এটাই এখন হচ্ছে। ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকলে আকর্ষণীয় বেতনে সহজেই চাকরি পাওয়া যাবে ফেসবুকে।
জানা গেছে, সম্প্রতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজী আইটি সেন্টার চাকরির এই সুযোগ করে দিচ্ছে। বেশ কয়েকজন যুবক এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই চাকরি পেয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানে সম্মান শেষ করা শামসুল আলম চাকরি পেয়েছেন। তিনি বলেছেন, কাজী আইটি সেন্টারের ফ্যান পেজে একটি পোস্ট দেখে তার আগ্রহ তৈরি হয়। পোস্টে প্রশ্ন ছিল কেনো তুমি সেরা (হোয়াই ইউ আর আউটস্ট্যান্ডিং)। নিজেকে সেরা মনে করার কারণ উল্লেখ করে আমি কমেন্ট করি। অনেকের মধ্যে তার কমেন্টটিই পছন্দ করেন প্রতিষ্ঠান প্রধান।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এরপর যুক্তরাষ্ট্র হতে ফেসবুক লাইভে ফোন আসে। কিছু প্রশ্ন করা হয় ইংরেজিতে। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন আরও অনেকেই। তবে সবচেয়ে স্মার্ট উপস্থাপনা এবং ভালো ইংরেজি জানার কারণে প্রথমে মোবাইল বিজয়ী হই। তারপর আরেক ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে চাকরির সুযোগ পেয়ে যায়।
সংবাদ মাধ্যমকে শামসুল বলেছেন, এভাবে চাকুরি পাবো তা কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি। শুধু ইংরেজিতে ভালো কমিউনিকেশন স্কিল থাকাতে আমার এই সুযোগ হয়েছে। পদার্থে পড়ে সাধারণত কর্পোরেট জব খুবই কম হয়। তবে আমি প্রমাণ করতে চাই যে, শুধু এমবিএ পাস করলেই জগতে ভালো করা যাবে, এটি মোটেও ঠিক নয়।
অনেকের মুখে প্রায়ই শোনা যায় যে, সমাজকে ধ্বংস করছে ফেসবুক। আবার পরীক্ষা শেষে বহু শিক্ষার্থী এও মনে করেন ফেসবুক ছেড়ে যদি পড়াশোনায় একটু বেশি সময় দেওয়া যায় তাহলে ফলাফল আরও ভাল হতো। ফেসবুক নিয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মন্তব্যগুলো প্রায় সব ক্ষেত্রেই নেতিবাচকই দেখা যায়। যদিও প্রযুক্তির এই যুগে ফেসবুকে আইডি নেই এটা ভাবাও কঠিন ব্যাপার।
সংবাদ মাধ্যমকে এই বিষয়ে কাজী আইটি সেন্টারের সিইও মাইক কাজী বলেছেন, কয়েকজনকে এই প্রক্রিয়ায় চাকরি দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েকজন প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন।
তিনি বলেছেন, কাজী আইটি সেন্টার লিমিটেডের প্রধান অফিস যুক্তরাষ্ট্রে। রাজধানীর নিকুঞ্জে তাদের বাংলাদেশের অফিস। এছাড়াও রাজশাহীতে তাদের শাখা অফিস ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।
মাইক কাজী আরও বলেন, চাকরির সুযোগ রয়েছে, তবে যোগ্যতাসম্পন্ন লোক পেতেই এই অভিনব কৌশল। কাজী আইটির প্রায় সব কাজই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হয়ে থাকে। তাই এসব কাজে ইংরেজি জানা লোকই বেশি প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রচুর গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয় বলে উপস্থিত বুদ্ধিরও প্রয়োজন হয়।
কাজী মনে করেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংরেজিকে আরেকটু গুরুত্ব দিলে চাকরি পেতে অনেক সহজ হতো শিক্ষার্থীদের জন্য। তবে যেকোনো শিক্ষার্থী নিজেকে যোগ্য মনে করলে কাজী আইটি সেন্টারের ফ্যান পেজ কিংবা ওয়েবপেজে (www.facebook.com/kazitbd) আবেদন করতে পারবেন।