দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যার ঘটনায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর উপর ক্ষুব্ধ সংকল্প আগে থেকেই জানিয়ে আসছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে ইইউ।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যার ঘটনায় এবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
সেইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নিধন করতে অভিযান চালানোর কারণে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কাছে যেকোনো ধরনের অস্ত্র কিংবা সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইইউ।
গতকাল (সোমবার) ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা নিধন অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এর সদস্যরা মিয়ানমারের সেনাপ্রধান ও অন্য জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ বাতিল করবে। সেইসঙ্গে সমস্ত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা পর্যালোচনা করবে ইউরোপীয় দেশগুলোর এই জোট।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে যে, যদি রাখাইনে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, সেক্ষেত্রে অন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তারা ভাবছে।
অপরদিকে গত শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের নিরাপত্তার জন্য শান্তিরক্ষা বাহিনী চায়।
উল্লেখ্য, রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংসতার শিকার হয়ে গত ২৫ আগস্ট হতে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার তাদের মানবিক সাহায্য করছে। তাদের অস্থায়ীভাবে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।