দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বজুড়ে যেনো মুসলিম বিদ্বেষী ঘটনা বাড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের উপর নেমে আসছে নানা অত্যাচার-নির্যাতন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার কানাডায় নিষিদ্ধ হলো নেকাব।
খবরে বলা হয়েছে, জনসেবা প্রদান এবং গ্রহণ করতে মুখমণ্ডল ঢেকে রাখা যাবে না, এমন নিয়ম করে একটি আইন পাশ করেছে কানাডার একটি প্রাদেশিক সরকার। সবার জন্য এই বিধি নিষেধ আরোপ করা হলেও সমালোচকদের মতে মুসলিম নারীদের লক্ষ্য করেই এটি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বুধবার কুইবেক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ‘বিল সিক্সটি-টু’ নামে এই আইনটি পাশ হয় ৬৬-৫১ ভোটের মাধ্যমে। ২০১৪ সাল হতে ক্ষমতায় থাকা লিবারেলরা দু’বছর পূর্বেই এই বিলটি উত্থাপন করেছিল।
এই আইনের কারণে কুইবেক প্রদেশে সরকারি সেবা গ্রহণের জন্য বোরকা এবং নেকাবধারীরা মুখ খুলে তাদের চেহারা দেখাতে হবে। যে কারণে এখন থেকে পুলিশ, শিক্ষক, চিকিৎসক এবং বাস ড্রাইভারসহ প্রশাসনে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কর্মরতরা মুখ ঢেকে রাখতে পারবেন না।
আইনটিতে যদিও মুসলিম ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে নির্দিষ্ট করে তেমন কিছু বলা হয়নি, তারপরও এই আইনের কারণে শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনের কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকার দাবি করেছে যে, সব ধরনের নাগরিকদের জন্য এই আইন করা হয়েছে, নির্দিষ্ট করে কোনো মুসলমানদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। তবে এই আইনের কারণে সরকারি সেবা গ্রহণ করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি বাঁধাগ্রস্ত হবেন মুসলিম নারীরা।
যদিও কুইবেকে কত নারী নেকাব পড়ে সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো তথ্য জানা নেই। তবে ২০১৬ সালের এক জরিপের তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, কানাডার ৩ শতাংশ মুসলিম নারী চাদর পরে ও ৩ শতাংশ নারী নিকাব পরে বাইরে বের হন।